চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মীরেরহাট বাজারে মানসিক প্রতিবন্ধী বেলাল হোসেন হত্যার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর উদ্যোগে শরিবার ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় মীরেরহাট বাজারে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে এলাকায় চলমান মদ, গাঁজা ও বিভিন্ন ধরনের মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “মানসিক প্রতিবন্ধী বেলাল কারো শত্রু নয়, বেলালকে রাতের আঁধারে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কে বা কারা করেছে—তা আমরা জানি না; তবে দোষী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনতেই হবে। অপরাধীর কোনো দল নেই, থাকতে পারে না।” বক্তারা অভিযোগ করেন, হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ‘গাঁজা সুমন’ নামে একজনকে আটক করা হলেও তাকে হত্যা মামলায় না দেখিয়ে মাদক মামলায় চালান দেওয়া হয়েছে। তারা পুলিশকে সতর্ক করে বলেন,
“বেলাল হত্যায় কোনো ধরনের আপোষ বা গাফিলতি করা হলে আমরা এলাকাবাসী থানা ঘেরাও করতে বাধ্য হব।” বক্তারা বেলাল হত্যার দ্রুত বিচার, এলাকায় মাদক–সন্ত্রাস দমন এবং রাতে বাজার এলাকায় অপরাধীদের আনাগোনা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন: প্রধান অতিথি ছিলেন- কাজী এনামুল বারী, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও এলাকার কৃতি সন্তান, সভাপতিত্ব করেন- এডভোকেট হোসাইন মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, এডি.পিপি, জজ কোর্ট ও এলাকার কৃতি সন্তান, সঞ্চালনা করেন- মোঃ শওকত হোসেন, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন: বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিয়ত উল্লাহ, মোঃ আব্দুল করিম, মোহাম্মদ জামশেদ আলম (সভাপতি, মীরেরহাট বাজার কমিটি), কাজী মোঃ খায়রুল আলম, মোঃ দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ জামশেদুল আলম, মোঃ ফরহাদ হোসেন, মোঃ আমান উল্লাহ, মোঃ আবু ইউছুপ, মোহাম্মদ ইলিয়াছ শাহ, মোঃ মামুন হোসেন, মোঃ সাহাবুদ্দিন সাদ্দাম, মোঃ মিনহাজ উদ্দিন পায়েলসহ অসংখ্য এলকাবাসী। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বাজারের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।
বেলাল হত্যার বিবরণ: শনিবার (৮ নভেম্বর) গভীর রাতে মীরেরহাট বাজারে ঘুমন্ত অবস্থায় মানসিক প্রতিবন্ধী বেলাল হোসেন (৩২)-কে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের মৃত আবুল কালাম ও মৃত গুরাধন বিবির ছেলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারের প্রবেশমুখে সেমিপাকা উন্মুক্ত সেডের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় বেলালের দেহ পড়ে আছে। কাঠের টুকরা দিয়ে মাথায় আঘাত করায় তার মাথা থেতলে গেছে। ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় হত্যায় ব্যবহৃত কাঠের টুকরা এবং ব্যবহৃত স্যান্ডেল।