রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার বিচার চেয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা এই ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন কাজলা গেটে কাজলা ক্যান্টিনে রাতের খাবার খেতে গেলে শিক্ষার্থীদের ওপর মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা আকস্মিকভাবে এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে । দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফাইন্যান্স বিভাগের দুজন শিক্ষার্থী ছিল।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটের সামনের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। অপরাধীদের গ্ৰেফতারসহ শিক্ষার্থীদের অন্য দুটি দাবি হলো, কাজলা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে এবং কাজলা ক্যানটিন কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ ডিলিট করায় ক্যানটিনটি বন্ধ করতে হবে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সন্ত্রাসীরা দেখে যা, রাজপথে তোর বাপেরা’; ‘সন্ত্রাসীর চামড়া, তুলে নেব আমরা’; ‘সন্ত্রাসীর আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’; ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘রাকসু কী করে, আমার ভাই মেডিকেলে’; ‘প্রশাসন কী করে, আমার ভাই মেডিকেলে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
আসিফুর রহমান নামের একজন আন্দোলনকারী বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। না হলে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এত কিছু হয়ে গেল; অথচ ফাঁড়ির পুলিশ কিছুই করতে পারেনি। তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। আর কাজলা ক্যানটিন কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ ডিলিট করায় ওই ক্যানটিন বন্ধ করে দিতে হবে। ১০ বারের বেশি কল দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উনি (ভিপি) আমাদের কল রিসিভ করেননি এবং যোগাযোগও করেননি। এ রকম অসহযোগিতার জন্য আমরা ভিপির প্রতি নিন্দা জানাচ্ছি।’
সার্বিক বিষয়ে রাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘পুলিশ চেষ্টা করছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমরা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে বহিরাগত ১৪-১৫ জন মুখোশ ও হেলমেট পরিহিত দুর্বৃত্তের একটি দল মোটরসাইকেলে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। ঐসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের কাজলা গেট সংলগ্ন ‘কাজলা ক্যান্টিন’-এ রাতের খাবার খচ্ছিলেন।
দুর্বৃত্তদের হামলায় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হন। আহতরা হলেন ফিন্যান্স বিভাগের আল ফারাবী, তাহমিদ আহমেদ বখশী এবং নাট্যকলা বিভাগের মিনহাজ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা প্রথমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজনের ছবি দেখিয়ে তাকে খুঁজছিল। এরপর হঠাৎ করে লোহার রড, রামদা, হাতুড়ি এবং ছুরি নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। মারধরের সময় ফারাবী এবং বখশীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ফারাবীকে বেতার মাঠের পাশে এবং বখশীকে হবিবুর রহমান হলের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়। আর মিনহাজকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক জানান, “খবর পেয়ে দ্রুত অভিযানে নামে পুলিশ। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।”
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
