চন্দনাইশ উপজেলার ৯১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার মডেল টেস্টের বাংলা প্রশ্নপত্র ভুলে ভরা। গত ১৯ নভেম্বর সকাল ১০টায় এ পরীক্ষা নিজ নিজ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে। উল্লেখিত প্রশ্নপত্রের মধ্যে ৩, ৫, ৮, ১০ ও ১৫ নম্বরে ভুল ধরা পড়ে। তৎমধ্যে ১০ নম্বর প্রশ্নটিতে সম্পূর্ণভাবে ভুল নির্দেশনা দেয়া হয়। অন্যান্য প্রশ্নগুলোতে ভুল বানান লিপিবদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি বানানের ক্ষেত্রে মূল পাঠ্যবই অনুসরণ করা হয়নি বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন। পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে সচেতন অভিভাবকরা প্রাথমিক শিক্ষায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মডেল টেস্টের বাংলা প্রশ্নপত্রের ভুল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে শিক্ষক অভিভাবকরা নেতিবাচক পোস্ট দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেছেন, প্রশ্নপত্র ভুল এটা নতুন নয়, চলতি বছরের ১ম ও ২য় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষায়ও প্রচুর ভুল ছিল প্রশ্নপত্রে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও ছাপানোর জন্য নির্দিষ্ট উপজেলা কমিটি থাকলেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন তা পাশ কাটিয়ে গুটিকয়েক আজ্ঞাবহ শিক্ষক নিয়ে এ ধরনের পরীক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য যে, সরকারিভাবে মডেল টেস্ট নেয়ার কোন নির্দেশনা না থাকলেও প্রতি শিক্ষার্থী থেকে ৮০ টাকা হারে ফি নিয়ে এ পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কবির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার সাথে সাথে কেটে দেন। উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইলিয়াছ বলেছেন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটি থাকলেও তিনি তার মতো করে লোক দিয়ে কাজ করেছেন। পরীক্ষা ফি ৮০ টাকার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। তবে মডেল টেস্টের ব্যাপারে বলেছেন খাতার প্রথম পৃষ্ঠায় এসএসসি পরীক্ষার মত ফরম পূরণ করতে হয়। এটা শিক্ষার্থীদের শিখানোর জন্য মডেল টেস্ট নেয়া হচ্ছে।