ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ বলেছেন, বিগত ১৭ বছরে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনীতি ব্যবস্থাসহ সমস্ত ব্যবস্থা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। চিকিৎসার নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছিল সবকিছুই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে। দেশের চিকিৎসাখাত হবে যুক্তরাজ্যের আদলে। একটি রোগীও যেন বিনামূল্যে মারা না যায় সে ব্যবস্থা করা হবে। তিনি ২০ নবেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ও ড্যাবের সহযোগিতায় জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ মাঠে দরিদ্র-অসহায় মানুষের জন্য বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষধ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওইসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশে ৩৬টি মেডিকেল কলেজ থাকলেও সেগুলোতে দলীয় লোক বসানোর কারণে মানসম্পন্ন চিকিৎসাব্যবস্থা নেই। বিএনপি সরকারে এলে শেরপুরে একটি মানসম্মত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, যার অর্থ নেই সে যেন বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা নিতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে শেরপুর-১ (সদর) আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেন, শেরপুরের মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আমরা দরিদ্র অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদান করার জন্য পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সামনের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমরা শেরপুরে হাসপাতালের যত সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করে দূর করে মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করবো।
সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মো. হযরত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই মেডিকেল ক্যাম্পে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব)’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যাপক ডা. খালেকুজ্জামান দিপু, কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সায়েম মনোয়ার, শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. সাইফুল ইসলামসহ জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আব্দুল্লাহ ওয়াসী খান জনি জানান, এ মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় পাঁচ হাজার রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা নেন। পরে তাদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ প্রদান করা হয়। এদিন ২০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করেন। এছাড়া যাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন তাদের একটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ৫০ শতাংশ ছাড়ে পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করা হয়।