কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা গ্রামের মো: মাসুদ মিয়া নামের এক অসহায় কৃষকের পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মো: লোকমান মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিলে পুকুর পাড়ের দোকান পাঠ দখলে নিবে বলে হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাসুদ মিয়া মো: লোকমান মিয়াকে প্রধান অভিযুক্ত করে আরো ৩জনের নামে গত মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর তাড়াইল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত লোকমান মিয়া একই গ্রামের মো: হাশেম মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, মো: মাসুদ মিয়ার বাবা মৃত জিয়া উদ্দিনের ক্রয়কৃত সম্পত্তি প্রায় ৬৫ বছর যাবৎ মো: মাসুদ মিয়া ভোগ দখল করে আসছে। হটাৎ একই গ্রামের মো: হাশেমের ছেলে লোকমান মিয়া এই সম্পত্তি তাদের দাদার বলে দাবি করে। এ বিষয় গ্রামের গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে শালিস-দরবার হলে তা অমান্য করে জোরপূর্বক গত বৃহস্পতিবার ১১ নভেম্বর মাসুদ মিয়ার পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায় লোকমান মিয়া ও তার লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: নাদিম ও মো: সানাউল্লাহসহ আরো অনেকে বলেন, মাসুদ মিয়া এই পুকুরটি প্রায় ৪০ বছর ধরে ভোগ দখল করছে। হটাৎ লোকমান বলে এটা আমার দাদার। গত বৃহস্পতিবার ১১ নভেম্বর দুপুরে লোকমান ও রনিসহ আরো কয়েকজন মিলে মাছ ধরে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মাসুদ মিয়া জানান, আমার বাবা ১৯৬০ সনে এই জমি কিনছে। আমাদের ডকুমেন্ট আছে। হটাৎ তারা একটি দলিল দেখিয়ে এই পুকুরটি দখল করার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে একটি দরবারও হয়েছে। তারা তা অমান্য করে উল্টো মামলা করেছে। কিন্তু তারা আমাদের যে দলিল দেখিয়েছে সেটি জাল। ৮ থেকে ৯ দিন আগে আমার এই পুকুরের মাছ লোকমান ও তার লোকজন ধরে নিয়ে যায়। প্রশাসনের কাছে আমি তার সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ ব্যাপারে বিবাদী মো: লোকমান মিয়াকে মুঠোফোনে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলেন, কে আপনাদের সাংবাদিকতার লাইসেন্স দিয়েছে বলে ফোন বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয় তাড়াইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাব্বির রহমান বলেন, পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।