রামপালে জমি ও দোকানঘর বিক্রি করেও পাওনা টাকা না পাওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী নারী কণিকা হালদার। শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকাল ৪ টায় সন্তোষপুর ফয়লাহাটে তার বিক্রিত দোকানঘরের সামনে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হিন্দু ওই নারী কনিকা হালদার জানান, ২০২১ সালে তিনি গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের কাছে ১১ শতক জমি ও দোকানঘর বিক্রি করেন। সেই সময় মোট ৬৫ লাখ টাকার চুক্তিতে তিনি জমি ও দোকানঘর বিক্রি করেছেন বলে জানান। চুক্তি অনুযায়ী ক্রেতা নগদ ২৫ লাখ টাকা প্রদান করেন। বাকি ৩৫ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি গ্রহীতা আ. রহমান কৌশলে চেকটি ফিরিয়ে নেন এবং বাকি টাকার বিষয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকেন।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে গিয়ে কোনো সমাধান না পাওয়ায় পরবর্তীতে ভুক্তভোগী কণিকা রামপাল সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেন। তদন্তের ভিত্তিতে গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একটি সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আব্দুর রহমানকে ১৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধের লিখিত সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। পাওনা টাকা ফেরৎ না পাওয়ার ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী গত পাঁচ মাসে প্রতিপক্ষ রহমান মাত্র ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। বাকি ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধে কালক্ষেপণ ও টালবাহানা শুরু করেছেন। কণিকা দাবি করেন, মোশারেফ নামের এক ব্যাক্তি তার বাড়ি ফকিরহাট পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে তাদের ভয়ভিতি দেখান ও বলেন তোরা টাকা কিভাবে আদায় করিস তা আমি দেখে নিবো। বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ালেও প্রতিপক্ষ থানায় হাজির হননি। হুমকি প্রদান করায় ভুক্তভোগীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন।
স্থানীয় সালিশে নির্ধারিত ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা দ্রুত ফেরৎ পাওয়ার আশায় প্রশাসনের ও বাগেরহাট জেলা পুলিশের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে আ. রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।