চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আনারুল ইসলাম হকা ডাক্তারের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল থেকে থেমে থেমে গাছ কাটা অব্যাহত রয়েছে। রবিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে হরিহরনগর-নবদুর্গাপুর সড়কের পাশে অর্ধেক কাটা অবস্থায় একটি নিম গাছ ও একটি শিশু গাছ দেখা যায়। গ্রামবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে গাছ কাটা বন্ধ রেখে সেখান থেকে জড়িতরা পালিয়ে যায়।
গ্রামবাসীর অভিযোগে জানা যায়, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আনারুল ইসলাম হকা ডাক্তার গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও একাধিকবার তার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ রয়েছে।
অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটা প্রসঙ্গে আনারুল ইসলাম হকা ডাক্তার বলেন, 'আমি এই এলাকায় যত গাছ আছে সেগুলো দেখাশোনা করি। সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে রাস্তার দু'পাশে যে গাছগুলো সমিতির সহায়তায় লাগানো হয়েছিল সেই সমিতির আমি সভাপতি। আমার কাছে হরিহরনগর গ্রামের মাদ্রাসায় কর্মরতরা এসে আর্থিক সহযোগীতা চাই। তাদেরকে সহায়তা করার জন্য আমি একটি গাছ কেটে নেয়ার জন্য বলি। তারা কয়টা গাছ কেটেছে তা আমি জানি না। যেসব গাছ কাটা হয়েছে তার মধ্যে বন বিভাগ পায় ৫৫% কমিশন আর আমরা পাই ৪৫%। এর আগেও আমি করোতোয়া রোডে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার গাছ বিক্রি করেছি'। এ বিষয়টি জীবননগর উপজেলা বন কর্মকর্তা কাজল ভাই সব জানে।
জীবননগর উপজেলা বন কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন বলেন, সরকারি গাছ কাটা হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে আমি সেখানে আমার দুইজন লোককে পাঠায়। তারা সরজমিনে দেখে এসেছে, সরকারি জমির গাছ কাটার কোনো অনুমতি আমরা দেইনি। যারা গাছ কাটার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।