বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ফেনী জেলা ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জিয়া উদ্দিন আহমেদ মিস্টার। অন্যদিকে সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হয়েছেন সালাউদ্দিন মামুন। দীর্ঘ দেড় যুগ পর ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত কার্যকরী কমিটি পেয়েছে ফেনী জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট। গত শনিবার (২২ নভেম্বর) জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যকরী কমিটির এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। নির্বাচনে মোট ১ হাজার ৬৩৮ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ১৫৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। যা মোট ভোটারের ৭০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভোটগ্রহণের পর ভোট গণনা শুরু হয় এবং রাত ১২টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: ইসমাইল হোসেন ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফলে মিস্টার-মামুন প্যানেল থেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রবীণ নেতা জিয়া উদ্দিন আহমেদ মিস্টার এবং সেক্রেটারি পদে ৫০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন।
তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পিপুল-রশিদ প্যানেলের ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুশফিকুর রহমান পিপুল পেয়েছেন ৪৮৩ ভোট, সেক্রেটারি প্রার্থী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রশিদ আহমেদ মজুমদার ৩৫৫ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া সেক্রেটারি পদে জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আ ন ম আবদুর রহীম ২৩৩ ভোট ও ডা. সহিদ উল্ল্যাহ পেয়েছেন ২৩ ভোট।
নির্বাচনে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে পাঁচটি পদের বিপরীতে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রাসেল পাটোয়ারী ৪৯০ ভোট, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক শরিফুল ইসলাম অপু ৩৩০ ভোট, জেলা ছাত্রদলের সদস্য মেজবাহ উদ্দিন মিয়াজী ৩২৩ ভোট, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক ওসমান গণি রাসেল ২৯৭ ভোট ও জেলা যুবদলের সদস্য আল ইমরান ২৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে, এ নির্বাচনে ৪২ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও ৩৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরবর্তী ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াত নেতা মেজবাহ উদ্দিন সাঈদ, সদস্য পদে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন ও এনসিপির সংগঠক আবদুল্লাহ আল জোবায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার অশোক বিক্রম চাকমা বলেন, ‘কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল।'