ছবি: সংগৃহীত।
দেশজুড়ে ভূমিকম্পের আতঙ্কের মধ্যেই আরও একটি বড় দুঃসংবাদ সামনে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, আগামী ৭ দিনে আরও বেশ কয়েকবার কেঁপে উঠতে পারে দেশ। এর মধ্যেই এবার খবর ভয়ংকর এক ঘূর্ণিঝড়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সৃষ্টি হতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি দুর্বল নিম্নচাপ তীব্রতর হয়ে ইতোমধ্যে ‘সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে’ রূপ নিয়েছে; যা আগামীকাল আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে প্রাথমিক বিশ্লেষণে জানা গেছে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম ওড়িশাটিভি এমন উদ্বেগজনক তথ্য জানায়।
আবহাওয়া বিশ্লেষণ বলছে, নিম্নচাপটি দক্ষিণ আন্দামান সাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং ২৫ নভেম্বরের মধ্যে আরও ঘনীভূত হবে। বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, ২৫ থেকে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে এটি গভীর নিম্নচাপ ও পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় গঠিত হলে এর সম্ভাব্য নাম হতে পারে ‘সেনিয়ার’।
২৮–২৯ নভেম্বরের মধ্যে সিস্টেমটি মধ্য ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
কোথায় আঘাত হানতে পারে?
পর্যবেক্ষকদের মতে, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি দিক পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
প্রাথমিক ধারণায় বলা হচ্ছে—১ থেকে ২ ডিসেম্বরের মধ্যে এটি উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও বাংলাদেশ উপকূলের মধ্যবর্তী কোনো অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণাঙ্গভাবে তৈরি না হওয়া পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়।
আবহাওয়াবিদ সন্দীপ পট্টনায়ক জানিয়েছেন—মালাক্কা প্রণালী ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের অনুকূল জলবায়ু, সমুদ্রের বিস্তৃত উষ্ণ জলরাশি, প্রশান্ত মহাসাগর থেকে শক্তিশালী বাতাসের স্রোত প্রবেশ, শীতল বাতাসের অনুপ্রবেশ না থাকা—এই সবকিছু মিলেই নিম্নচাপটি দ্রুত শক্তি অর্জন করছে।
সংস্থাটির মতে, বর্তমানে সাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৫ থেকে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর সম্ভাব্য নাম হতে পারে ‘সেনিয়ার’। এরপর ২৮ থেকে ২৯ নভেম্বর নাগাদ এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে মধ্য ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে পারে এবং তখন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এটির প্রভাবে আগামী ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটারে পৌঁছাতে পারে। ২৬ নভেম্বর বাতাসের গতিবেগ বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ এমনকি ৮০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে। আর ২৭ নভেম্বর বাতাসের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
আবহাওয়ার এই সিস্টেমটি ২১ নভেম্বর থেকে ২ বা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। এর মধ্যেও ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর—এই সময়টিতে সবচেয়ে বেশি তীব্রতা দেখা যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
ভূমিকম্প–আতঙ্কের পর টানা দুর্যোগ–সতর্কতা জনমনে আরও অস্থিরতা তৈরি করেছে। তবে meteorological সংস্থাগুলো বলছে—পরবর্তী ২–৩ দিন পর্যবেক্ষণের পর ঘূর্ণিঝড়ের দিক ও সম্ভাব্য আঘাতস্থল সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
