সাতক্ষীরার তালা বাজার ও এর আশপাশের এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চরম অব্যবস্থাপনা এখন স্থানীয় মানুষের নিত্যদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেলা বাজার মাইক্রো স্ট্যান্ড, তালা ডাকাবাংলোর পিছনে, তালা বাজার মন্দির-সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের ঘাট, তালা খেয়াঘাট প্রতিটি এলাকাই যেন একেকটি উন্মুক্ত ময়লার ভাগাড়। দিনের পর দিন গড়ে ওঠা এই বর্জ্য স্তূপ শুধু দুর্গন্ধই ছড়াচ্ছে না, বরং স্থানীয় পরিবেশ, নদী ও জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
দোকানদার থেকে পথচারী সবাই একই সমস্যার কথা জানান। বাজার শেষ হলেই আশপাশে জমে থাকা পচা সবজি, পোলট্রি বর্জ্য, প্লাস্টিক, হাসপাতালের মিশ্র বর্জ্য পর্যন্ত সব কিছুই ফেলে রাখা হয় রাস্তার ধারে। বিশেষ করে মেলা বাজার মাইক্রোস্ট্যান্ড এলাকায় জমে থাকা বর্জ্যের দুর্গন্ধে সকাল-বিকাল যাতায়াতকারীদের কষ্ট পোহাতে হয়। পুরাতন থানা এলাকার রাস্তার দু’ধারে ফেলে রাখা ময়লার স্তূপে সৃষ্টি হয়েছে মাছি, মশায় রোগবালাইয়ের বিস্তার লাভ করছে।
তালা বাজারের পুরাতন থানা মোড়ের পাশেই এখন বড় একটি ময়লা স্তুপ হয়েছে। মানুষ যাতায়াতে সময় দুর্গন্ধে কেউ এখানে দাড়াতেই পারে না। বাতাসে ভাসে তীব্র দুর্গন্ধ, দোকানদারদের দিন কাটে নাক-মুখচাপা অবস্থায়।
ডাকবাংলোর পেছনেও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটির সৌন্দর্য এখন নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির পিছনে ময়লার স্তুপ তৈরী হয়ে ছড়ায় দুর্গন্ধ ও জীবাণু। আশাপাশে পথচারীদের চলাচল করতে হয় নাক মুখ ঢেকে। সেই সাথে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানের পলিথিন।
তালা বাজার মন্দির সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদ এখন সবচেয়ে বিপদে মন্দিরের পাশের নদীর বাঁকে দিনরাত ফেলা হচ্ছে বর্জ্য, পলিথিন, সবজি বাজারের উচ্ছিষ্ট, মাছের আঁশ-সব মিলে এদিকে নদের নাব্যতা হ্রাস পাবে অপরদিকে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। ভক্তরা অভিযোগ করেন, নদীর ধারে দাঁড়ালে মাথা ঘুরে যায়-এভাবে কতদিন?
মহিলা কলেজ রোডের খালও বেঁচে নেই। খালটিতে ময়লা ও পলিথিনে ভরে গেছে। পানি দাঁড়িয়ে আছে, আর সেই পানি পচে সৃষ্টি হচ্ছে বিবর্ণ রঙের বিষাক্ত জীবাণু। ইউনিয়ন পরিষদ, কলেজ, দোকানপাট সবকিছুই যেন অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষতির শিকার।
মেলা বাজার পূর্ব পার্শ্বের মাইক্রো স্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে আছে ময়লার স্তুপ। গাড়িতে ওঠা-নামা করা মানুষ বলেন, এখানে দাঁড়াতেই পারে না দুর্গন্ধে তাদের মাথা ব্যথা শুরু হয়।
এ অবস্থায় তালা উপজেলা প্রশাসন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কিছু ব্যবস্থা নিলেও তা কার্যকর হয়নি। কয়েক মাস আগে বাজার এলাকায় বড় কন্টিনেন্টাল পাত্র স্থাপন করা হয়েছিল, কিন্তু সেগুলোও সঠিকভাবে ব্যবহার না হওয়ায় উল্টো পাত্রের আশপাশেই ময়লার পাহাড় তৈরি হয়। এতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কোনো সুফল আসেনি। এমনকি একটি ময়লা-বাহী ভ্যান চালু করা হলেও তা এখন প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে। পর্যাপ্ত জনবল না থাকা, নিয়মিত সংগ্রহ না করা এবং নজরদারির অভাবে উদ্যোগগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রানী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন সচেতন মহল।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
