× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

অনুমোদনহীন কটেজ তৈরির তোড়জোড়

এ.এম হোবাইব সজীব, কক্সবাজার

২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:২৩ পিএম

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের লীলাভূমিতে পরিণত হওয়া কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার উপদ্বীপ সোনাদিয়া। স্বর্ণের দ্বীপটি পরিবেশগত হুমকির মুখে পড়েছে। দ্বীপটিতে হাজার হাজার ঝাউগাছ কেটে পর্যটকদের জন্য  সম্পুর্ন অবৈধভাবে আবারও নতুন করে কটেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে ঝাউগাছ কেটে নতুন করে কটেজ নির্মাণে স্থানীয় ক্ষমতাচ্যুত যুবলীগ, এনসিপির নেতারা একাট্টা হয়ে কটেজ তৈরিতে নেমেছে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছে। তবে তারা পিছন থেকে সহযোগিতা করে কটেজ নিমার্ণ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

উপজেলার সোনাদিয়ায় ঝাউ বাগান ও প্যারাবন রক্ষার লক্ষ্যে ‘সোনাদিয়া বন বিট’ নতুনভাবে চালু করেছে বন বিভাগ। কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে বনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা থাকলেও মাঠপর্যায়ের চিত্র ভিন্ন। বিট চালুর পর থেকেই ঝাউবন কেটে বনের জমি দখল করে অনুমোদনহীন কটেজ নির্মাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহল। উপজেলা প্রশাসনের দাবি, ইতোমধ্যে কিছু কটেজ উচ্ছেদ করা হয়েছে; বাকিগুলোও দ্রুত সরিয়ে ফেলা হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ- বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে সোনাদিয়া বিট অফিসের সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় তিনতলা বিশিষ্ট কটেজসহ একাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছে ভূমিদস্যুরা। তাদের আশঙ্কা, এসব স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ না হলে অচিরেই সোনাদিয়ার ঝাউবন প্রায় উজাড় হয়ে যাবে।

অভিযোগ রয়েছে- এনসিপি নেতা কুতুবজোম ইউনিয়নের দৈলারপাড়া কেন্দ্রিক কয়েকজন নেতা ও জনপ্রতিনিধি এসব কটেজ নির্মাণের সঙ্গে জড়িত।

অভিযুক্তদের একটি পক্ষ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, সেন্টমার্টিনে যাতায়াতে সীমাবদ্ধতার কারণে সোনাদিয়ায় পর্যটকের চাপ বেড়েছে। “পর্যটকদের সুবিধা বিবেচনায় বন বিভাগের মৌখিক অনুমতি নিয়েই আমরা কটেজ নির্মাণ শুরু করেছি”- দাবি তাদের।

অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, ঝাউবন ও প্যারাবন রক্ষার স্বার্থেই সোনাদিয়া বন বিট চালুর জন্য মন্ত্রণালয় পর্যায়ে তদবির করা হয়েছিল। কিন্তু মাঠপর্যায়ে বন বিভাগ কোনো সহযোগিতা করছে না; বরং রহস্যজনক নীরবতার কারণে বনের জমি দখল রোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। খুব শীঘ্রই বৃহৎ উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পাশাপাশি বন বিভাগের কোনো কর্মকর্তা এ ঘটনায় জড়িত কিনা- তাও তদন্ত করা হবে বলে জানায় সূত্রটি।

জানা গেছে, সরকার ইতোমধ্যে সোনাদিয়াকে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সে অবস্থায় সেখানে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হেদায়েত উল্যাহ বলেন, নতুন কটেজ নির্মাণের খবর পেয়ে ইতোমধ্যে কয়েকটি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন বিট চালুর পরও এ ধরনের নির্মাণ অত্যন্ত রহস্যজনক। আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। নৌবাহিনীসহ যৌথবাহিনী নিয়ে শীঘ্রই বড় অভিযান চালানো হবে এবং সব অবৈধ কটেজ উচ্ছেদ করা হবে।


Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.