রাজধানী ঢাকার জনসংখ্যা ও পরিধি ক্রমেই বাড়ছে। বিশ্বের অন্যান্য শহরের তুলনায় ঢাকায় মানুষের চলাচল বেশি হওয়ায় এটি নবম থেকে উঠে এসেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ শহরে। আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খবর আল জাজিরার।
জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড আর্বানাইজেশন প্রসপেক্ট ২০২৫’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ঢাকায় বাস করছেন প্রায় ৩ কোটি ৬৬ লাখ মানুষ। একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা (৪ কোটি ১৯ লাখ মানুষ) এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে জাপানের রাজধানী টোকিও (৩ কোটি ৩৪ লাখ মানুষ)।
বিশ্বের মেগাসিটির সংখ্যা এখন ৩৩। ১৯৭৫ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৮। মেগাসিটি বলতে বোঝায় সেই শহর যেখানে ১ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করেন। এদের মধ্যে ১৯টি শহরের অবস্থান এশিয়ায়। শীর্ষ ১০ মেগাসিটির ৯টি এশিয়ায়, যেমন ভারতের নয়াদিল্লি (৩ কোট ২ লাখ), চীনের সাংহাই (২ কোটি ৯৬ লাখ), গুয়াংজু (২ কোটি ৭৬ লাখ), ফিলিপাইনের মানিলা (২ কোটি ৪৭ লাখ), ভারতের কলকাতা (২ কোটি ২৫ লাখ) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল (২ কোটি ২৫ লাখ)।
এশিয়ার বাইরে একমাত্র মিসরের রাজধানী কায়রো শীর্ষ ১০ মেগাসিটির মধ্যে আছে, যেখানে ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ বসবাস করেন। আমেরিকায় সবচেয়ে বড় শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো (১ কোটি ৮৯ লাখ) এবং সাব-সাহারান আফ্রিকায় সবচেয়ে বড় শহর নাইজেরিয়ার লাগোস।
জাতিসংঘের মতে, ঢাকার জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ার মূল কারণ হলো প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মানুষ রাজধানীতে আসা। অনেকে কাজের সন্ধানে আসছেন, আবার অনেকে বন্যা বা সমুদ্রস্তর বৃদ্ধির ঝুঁকি এড়িয়ে ঢাকায় পাড়ি জমাচ্ছেন।