লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বাকি টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আনোয়ার হোসেন (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে ইউসুফ আলী নামে এক যুবক। ঘটনার পরই এলাকা থেকে পালিয়ে গেলেও মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১।
লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১১-এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মিঠুন কুমার কুন্ডু গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য জানান।
কি ঘটেছিল মঙ্গলবার সকালে?
মঙ্গলবার সকালে রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের সাহারপাড়া এলাকায় আনোয়ারের কনফেকশনারী দোকানে আসে স্থানীয় যুবক ইউসুফ আলী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আনোয়ারের দোকান থেকে মালামাল বাকিতে নিতেন বলে জানা যায়। বকেয়া টাকা চাইলে ইউসুফ উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তর্কের এক পর্যায়ে দোকানের ভেতর ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আনোয়ারের বুকে, পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা আনোয়ারকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘাতক ইউসুফ কে?
ইউসুফ আলী ভোলাকোট ইউনিয়নের সাহারপাড়ার মাইজের বাড়ির এরশাদ হোসেনের ছেলে। তিনি দেড় বছর আগে প্রবাস থেকে দেশে ফিরে স্থায়ীভাবে এলাকায় ছিলেন। নিহত আনোয়ার একই এলাকার আলী রেজা বেপারী বাড়ির বাসিন্দা।
মামলা ও র্যাবের অভিযান
হত্যার পর রাতেই নিহতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার সাথী ইউসুফের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের বক্তব্য র্যাব-১১ এর কোম্পানি অধিনায়ক মিঠুন কুমার কুন্ডু বলেন, “ঘটনার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মামলার প্রধান আসামি ইউসুফকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাকে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য রামগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে।”
মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত আনোয়ার হোসেনের পরিবার বিচারের দাবিতে আহ্বান জানিয়েছে।