গত শুক্রবার ও শনিবারের ভূমিকম্পের আতংক কাটতে না কাটতেই নরসিংদীর পলাশে বৃহস্পতিবার(২৭ নভেম্বর) আবারও মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট ২০ সেকেন্ডে এই ভূ-কম্পন অনুভূত হয়।এ নিয়ে নরসিংদীর পলাশে চার দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বিকেল ৪ টা ১৫ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশাল। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিসমিক সেন্টার থেকে এর কেন্দ্রের দূরত্ব ২৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।
গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দেশে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওইদিন সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে নরসিংদীর পলাশসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ভূ-কম্পন অনুভূত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল ঘোড়াশাল।
স্থানীয়রা জানান,হঠাৎ বিকেলে সবকিছু কেঁপে উঠতে লাগল। আমরা সবাই বাইরে বের হয়ে যাই। এখনো ভয় কাটেনি।চার দফা ভূমিকম্পে খুবই আতংক ও উৎকণ্ঠায় আছি।ভূমিকম্প হলেই মনে হয় ঘরটা ভেঙে পড়বে। আবার বিদ্যুৎও নেই, মোবাইলে কোনো খবরও ঠিক মতো জানতে পারতেছি না। এলাকার লোকজন খুব ভয়ও আতঙ্কে দিন কাটাতেছে।
বিদ্যুৎ নাই,দুই দিকেই আমরা অস্বস্তিতে। দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা আতঙ্কে আছি।
ঘোড়াশাল স্টেশনের ব্যবসায়ী আল আমিন মিয়া বলেন,হঠাৎ ভূমিকম্প অনুভূত হলে দোকান রেখে বাহিরে চলে আসি।আমরা ভাবছিলাম, আরও বড় একটা কম্পন হয়তো আসবে। তাই অনেকক্ষণ বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম।বার বার পলাশে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হওয়ায় আমরা খুবই ভয়ে আছি।
গত শুক্রবারের মাঝারি মানের ওই ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত পলাশে দুইজন নিহত হয়েছে।ঘোড়াশাল রেলসেতু পিলার,ঘোড়াশাল সরকারি খাদ্য গুদাম ভবন,বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্কুল ভবন, ঘোড়াশাল বাজারে এস.এ ভবন,পলাশ-ঘোড়াশাল সারকারখানা পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দোকান গুলোতে ব্যাপক ফাটলের চিএ দেখা দিয়েছে
বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এর পরদিন শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটেও দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মৃদু ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও ছিল নরসিংদীর পলাশে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। পরবর্তীতে একই দিন সন্ধ্যায় আবারও দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।