জামালপুরের মাদারগঞ্জের উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নুর নবী কারি ও ৪নং বালিজুড়ি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের আহবায়ক শরিফ উদ্দিন নারী সহ ধরা খাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার(১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে পাচ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলাজুড়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা চলছিল। এ নিয়ে তারতা পাড়া গ্রামে স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এদিকে দ্রুত এ বিষয়ে তদন্ত করে নুর নবী কারী ও শরিফকে দ্রুত বহিষ্কারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খোজ নিয়ে জানা যায়, রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ৩ টায় তারতা পাড়া গ্রামে তাঁতি লীগের সভাপতি শাহাদৎ হোসেন সবুজ এর বাড়িতে ২ নারী সহ দরজা বন্ধ করে দুই জনে দুই রুমে অবস্থান করে সময় কাটাচ্ছিলেন নুর নবী কারী ও শরিফ। পরে স্থানীয় এলাকার ১০/১৫ জন তরুণ ছেলেরা ঘরের দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি করলে ২ রুম থেকেই ২ নারী সহ তারা বের হয়। পরে শরিফ উদ্দিন সহযোগিতা চাইলে মাদারগঞ্জ উপজেলা ছাএদলের সাবেক যগ্ন সাধারণ সম্পাদক আজম খান দ্রুত তাতী লীগ নেতার বাড়ীতে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে ৪নং বালিজুড়ি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের আহবায়ক শরিফ উদ্দিন জানান, তাতী লীগ নেতার কোন এক আত্মীয় থানায় মামলা করবে। তার জন্য আমরা সেখানে মামলার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে আমার সাথে মাদারগঞ্জের উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নুর নবী কারিও ছিলেন। আমরা মামলা সংক্রান্ত কথা বলছিলাম সেখানে৷ হঠাৎ এলাকার কিছু পোলাপান এসে আমাদের ডাকাডাকি করে। পরে আমরা মাদারগঞ্জ উপজেলা ছাএদলের সাবেক যগ্ন সাধারণ সম্পাদক আজম খানকে ফোন দিলে তিনি এসে পোলাপানদের বিদায় করে দেয়। তিনি আরো জানান, রাজনৈতিক ভাবে হেয় পতিপন্ন করার জন্য একটি চক্র বিভিন্ন অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
অন্যদিকে মাদারগঞ্জের উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নুর নবী কারি জানান, আমি সারাদিন মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহোদয়ের সাথে ছিলাম। আমি কিছু জানিনা ঘটনার বিষয়ে।
এদিকে এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল্লাহ সাইফকে মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রতন সোমবার সাড়ে ৫ টায় মুঠোফোনে জানান, ভিডিওটি আমরা দেখেছি। ভিডিওটি ও এলাকায় গিয়ে এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ সত্যতা পাওয়া গেলে দলীয় ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ব্যক্তির দায়ভার কখনো দল বহন করবে না।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর কাদের বাভুল খান মুঠোফোনে জানান,এক জনের বাড়ীতে আরেক জন যেতেই পারে। তবে ভাল করে তদন্ত করে দেখেন।