ছবি: সংবাদ সারাবেলা।
নরসিংদী-পলাশ নির্বাচনী আসনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদোর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জামায়েতের ৩০ জনসহ দুই পক্ষের ৩৫ জন আহত হয়েছেন দাবী করেছেন দুই পক্ষই। এ ঘটনা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মেহেরপাড়া মাজার বাসষ্ট্যান্ডের নিহার উদ্দিন চেয়ারম্যান মার্কেট এর সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিলি ও সংবাদ সম্মেলন করেছে জামায়াত। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মেহেরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতীদলের সভাপতি বখতিয়ার হোসেন, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক দুখু মিয়া। তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, নরসিংদীর মেহেরপাড়া মাজার বাসষ্ট্যান্ডের নিহার উদ্দিন চেয়ারম্যান মার্কেট এর সামনে জামায়াতে ইসলামীর প্রোগ্রাম চলছিল। ওই প্রোগ্রামে বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কিছু বক্তব্য রেখেছেন এক বক্তা। বিষয়টি নিয়ে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতীদলের সভাপতি বখতিয়ার হোসেন প্রতিবাদ জানায়। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে প্রোগ্রাম শেষে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ।
ঘটনার পর পরই জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী সভায় হামলার অভিযোগে প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন দলটিী দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী ও নরসিংদী জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসাইন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেছেন, নরসিংদী -২ (পলাশ) নির্বাচনী এলাকায় জামায়াতের নির্বাচনী সভায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় ছাত্রশিবিরসহ ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এঘটনার পর জামায়াতের ৩ জন নেতাকর্মী নিখোঁজ বলেও দাবি করেন তিনি।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মন্দীতে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় মেহেরপাড়া ইউনিয়নের শেখেরচর বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত সভায় ইউনিয়ন তাঁতীদল নেতা বখতিয়ার হোসেন বখতিয়ারের নেতৃত্বে এ হামলা হয়।
তিনি আরো বলেন, শুরু থেকেই বিএনপির কিছু নেতাকর্মী ওই সভায় বাধা সৃষ্টি করছিলেন। তার বক্তব্য চলাকালীন মঞ্চের পেছনে গিয়ে গালিগালাজও করেন তারা। স্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে প্রথমে তারা সেখান থেকে সরে গেলেও সভা শেষে ফের ৭০/৮০ জন বিএনপির নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এরমধ্যে ৭ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো জামায়াতের হামলায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউনিয়ন বিএনপি।
মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অব্দুর রশিদ মিয়া জানান, বিএনপির সাথে জামায়াতের কোন সংঘর্ষ হয়নি। সেথানে জামায়েতের একটি প্রোগ্রাম থেকে বিএনপিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন জামায়েতের এক নেতা। সেখানে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতীদলের সভাপতি বখতিয়ার হোসেন এর দোকান। সে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। পরে প্রোগ্রাম শেষে তারা এসে বখতিয়ারের ওপর আক্রমন করেন। ওই সময় তাকে বাঁচাতে তার ছেলে সহ কয়েক জন এগিয়ে যায়। পরে জামায়েত নেতাকর্মীদের হামলায় তারা আহত হয়। এদের মধ্যে বখতিয়ার সহ ২ জনের অবস্থা গুরুতর। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় বখতিয়ার সহ ২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, জামায়েতের একটি প্রোগ্রামে বিএনপিকে নিয়ে নানা কথাবার্তা বলছিল। সেটা বিএনপির লোকজন পজিটিভলি নেয়নি। তাৎক্ষনিক বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানায় তাঁতীদল নেতা। এই নিয়ে দুই পক্ষ কথাকাটাকাটি ও মারামারিতে জড়ায়। এতে ৫ জনের মতো আহত হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
