কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে চিহ্নিত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কৃষকের ফলন্ত লাউ ও বেগুন ক্ষেত কেটে নষ্ট করা এবং পাকা বেগুন তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাতের কোনো এক সময়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কৃষক আনোয়ার হোসেন (৬৫) থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সরেজমিনে গেলে কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, একই এলাকার মৃত ওবায়দুল হাকিমের ছেলে মো. এনাম (৩৫) ও তার ভাই রুহুল আমিন (৪২) দীর্ঘদিন ধরে বিনা কারণে তার সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে আসছে। কয়েক বছর ধরে তারা বিভিন্ন সময় ঝগড়ার অপচেষ্টা চালালেও সম্প্রতি তারা আনোয়ার হোসেন, তার বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও সন্তানদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
তিনি বলেন, তারা আমার মাকে দায়ের উল্টো পাশ দিয়ে আঘাত করে এবং আমাকে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ মো. এনামকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। পরে জামিনে বের হয়ে এসে এনাম আবারও তাকে ও তার পরিবারকে নিয়মিত হুমকি দিতে থাকে। ওই হামলার পর থেকে আমি এখনো পঙ্গুত্ব জীবন-যাপন করছি।
আনোয়ার হোসেন জানান, গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নাথপাড়া দোকানের সামনে লোকজনের উপস্থিতিতে আমাকে ৩ মাসের মধ্যে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয় এবং হামলার চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়দের বাধায় প্রাণে রক্ষা পাই।
তিনি আরও বলেন, ২ ডিসেম্বর রাতে আমার ফলন্ত লাউ ও বেগুন ক্ষেতের বেশকিছু গাছ কেটে নষ্ট করেছে। ধরন্ত লাউ কেটে ফেলে এবং পাকা বেগুন তুলে নিয়ে গেছে। এতে আমার অন্তত ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ভুক্তভোগীর শতবর্ষী বৃদ্ধা মা মাজেদা খাতুন বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই এনাম ও রুহুল আমিন আমাদের ওপর বারবার হামলা করেছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আনোয়ার হোসেন ও তার পরিবারের ওপর হামলা ও হুমকির ঘটনা সত্য। তার ফসলের ক্ষেত নষ্টের ঘটনাও তারা নিশ্চিত করে নিন্দা জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত মো. এনামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং কোন ধরনের সদুত্তর দিতে পারেননি।
এদিকে, ধারাবাহিক হামলা ও হুমকির ঘটনায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় আছেন জানিয়ে আনোয়ার হোসেন প্রশাসনের জরুরি সহযোগিতা কামনা করেছেন।