নগরীর ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম–৯ (বাকলিয়া–কোতোয়ালি–চকবাজার ও ডবলমুরিং আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার মনোনয়ন নিশ্চিত করা হয়।
ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে আসা আবু সুফিয়ান চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–৮ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং পরবর্তীতে একই আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নেন।
দলীয় সূত্র জানায়, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ভিন্নমত দমনের কঠোর পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে দলীয় আন্দোলন-সংগঠনে অন্যতম ভূমিকা রাখেন তিনি। মামলার চাপ, গ্রেফতার অভিযান, নির্যাতন ও একাধিকবার কারাবাস—এসব প্রতিকূলতার মধ্যেও আবু সুফিয়ান তৃণমূলের পাশে থেকে সংগঠনকে টিকিয়ে রেখেছেন। কোনো সময় দায়িত্ব এড়িয়ে যাননি; বরং দলের স্বার্থে নিজেকে পুরোপুরি নিবেদন করেছেন।
মনোনয়ন ঘোষণার পর চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। তারা মনে করছেন, দীর্ঘদিনের সংগ্রামী রাজনীতি, তৃণমূলে গ্রহণযোগ্যতা এবং সাংগঠনিক অভিজ্ঞতার কারণে এবারের নির্বাচনে চট্টগ্রাম–৯ আসনে বিএনপির অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।
এদিকে মনোনয়ন ঘোষণার পর বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের বক্তব্য, “যোগ্য, পরীক্ষিত ও তৃণমূলনির্ভর একজন নেতাকে প্রার্থী করে তারেক রহমান আবারও প্রমাণ করেছেন—তিনি মাঠের নেতাকর্মীদের অনুভূতি ও প্রত্যাশাকে মূল্য দেন। আমরা আন্তরিকভাবে তাকে ধন্যবাদ জানাই।”
নেতাকর্মীদের মতে, আবু সুফিয়ানের প্রার্থিতা কেবল একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়; এটি তৃণমূলে দীর্ঘদিন ধরে লড়ে যাওয়া একজন নেতার প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ।