রামপালে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মাথা গোজার ঠাই পেলেন ভাগা গ্রামের পথের ভিখারিনী দিপালী শীল। অসহায় পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন রামপাল–মোংলা ও ফকিরহাট (২) আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

জানা গেছে, দিপালী শীলের স্বামী অধীর শীল কয়েক বছর আগেই পরলোকগমন করেছেন। তাদের দুই মেয়ে রুপালী (২০) ও সোনালী (১৭) দুজনই বাক প্রতিবন্ধী। দারিদ্র্য ও প্রতিবন্ধকতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারটি চরম কষ্টে জীবনযাপন করছিল।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম পরিবারটির জন্য একটি নিরাপদ ও বসবাসযোগ্য ঘর তৈরির দায়িত্ব নেন। পাশাপাশি তিনি ছোট মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধি রুপালী শীলকে একটি সেলাই মেশিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, যাতে তিনি নিজের কর্মসংস্থান করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।

লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। এটাই আমার রাজনীতির মূলনীতি। এই পরিবারটির দুঃখ-কষ্ট দেখে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারিনি। আমার সামর্থ্য দিয়ে তাদের জন্য কিছু করতে পেরে আমি ধন্য। আমি সব সময় রামপালের অসহায় মেহনতি মানুষের পাশে ছিলাম ভবিষ্যতেও রামপালের অসহায় মানুষের পাশে থাকব।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশই হলো, মানুষের সেবা করা। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা মাঠে নেমে কাজ করছি। দিপালী শীলের পরিবারটি এখন থেকে নিরাপদে থাকতে পারবে, আর রুপালী নিজের কাজ করে পরিবারকে এগিয়ে নেবে এটাই আমাদের আনন্দ।

ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে রামপাল উপজেলার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রামপাল উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলাম, রামপাল উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মল্লিক জিয়াউল হক জিয়া, যুবদলের সদস্য সচিব এস, এম আলমগীর কবির বাচ্চু, রামপাল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ওজিয়ার রহমান, রামপাল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোল্লা তরিকুল ইসলাম শোভন, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান প্রমুখ।

স্থানীয়রা বলেন, দিপালী শীলের মতো অসহায় পরিবার বহুদিন ধরে সাহায্যের অপেক্ষায় ছিল। আজ তাদের চোখে যে হাসি দেখছি, এটাই প্রকৃত মানবসেবা।

লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের এই মানবিক উদ্যোগকে উপজেলাজুড়ে ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং রাজনৈতিক নেতার ব্যক্তিগত উদ্যোগে একের পর এক ধারাবাহিকভাবে ঘর নির্মাণ, এটি রামপালে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।