× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

যথাযোগ্য মর্যাদায় ফেনী মুক্ত দিবস পালিত

‎শেখ আশিকুন্নবী সজীব,ফেনী জেলা প্রতিনিধি:

০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:৫৩ পিএম

ছবি: সংবাদ সারাবেলা।

ফেনী জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ফেনী মুক্ত দিবস পালন করেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে শহরের পুরাতন জেল রোডস্থ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন  সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। ‎এরপর শহরে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়।

‎একই দিন সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‎আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেনী জেলা প্রশাসক মনিরা হক। ‎জেলা প্রশাসক উনার বক্তব্যে বলেন,১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ফেনীকে হানাদার মুক্ত করতে যাদের অবদান অপরিসীম তাদের প্রতি রইল অশেষ শ্রদ্ধা ও সম্মান। ‎তিনি বলেন, ৬ ডিসেম্বর ফেনীতে যে লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলিত হয়েছে তা যেন কখনো ফ্যাসিবাদের রাহু কবলিত না হয়। ‎আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন ভিপি, জেলা পুলিশ সুপার মো: শফিকুল ইসলাম, জেলা সিভিল সার্জন ডা: রুবাইয়াত বিন করিম। 

‎এতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর মুফতি মাওলানা আবদুল হান্নান, এবি পার্টির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম বাদল, এনসিপির জেলা কমিটির সদস্য সচিব শাহ ওয়ালী উল্লাহ মানিক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ফেনী জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ফেনী ইউনিটের আহবায়ক আবু নাসের চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়া,খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি  মাওলানা মোজাফফর আহমদ জাফরী,জেলা  মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার  মেরাজুল করিম মানিক ও আবদুল মোতালেব।

‎সভায় উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের বক্তব্যে ফেনীকে হানাদার মুক্ত করার ইতিহাস তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, বিজয় দিবসের ১০ দিন আগেই হানাদার মুক্ত হয় ফেনী। মুক্তিযুদ্ধের ২নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে ৬ ডিসেম্বর ভোরেই মুক্তিযোদ্ধারা দলে দলে ফেনী প্রবেশ করে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে পুরো শহর প্রকম্পিত করে তোলে।

‎বক্তারা আরও বলেন,  মুক্তিযোদ্ধারা পাশ্ববর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থান নিয়ে শত্রুর মোকাবিলায় আস্তে আস্তে অগ্রসর হতে থাকেন। পরশুরামের বিলোনীয়ায় পাকসেনাদের সাথে কয়েক দফা সম্মুখ লড়াই হয় মুক্তিযোদ্ধাদের। সর্বশেষ ৪ নভেম্বর রাতে মুহুরী নদীর পাড় ঘেঁষে পরশুরামে প্রবেশ করেন ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইপিআর সদস্য ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা। তাঁরা পাকসেনাদের দখলে থাকা চিথলিয়া ও পরশুরামের মজুমদার হাট ক্যাম্পের মাঝ বরাবর ঢুকে পড়ে শত্রুর অবস্থানে অতর্কিতে হামলা করে তাদের নাস্তানাবুদ করে তোলেন। দুপক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই শেষে ৭ নভেম্বর পরশুরামকে শত্রু মুক্ত করা হয়। শত্রু-অবস্থানের মাঝ বরাবর ঢুকে পড়ে যুদ্ধ করার এমন ঘটনা শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, বিশ্বের যুদ্ধের ইতিহাসেও বিরল। যে কারণে বিভিন্ন দেশের সামরিক শিক্ষার বইয়ে বিলোনিয়ার যুদ্ধ বিশেষ স্থান দখল করে আছে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.