শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী-শ্রীবরদী দুই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎ শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে। শেরপুরে তিন যোগ আগেও মৃত শিল্পীদের হাতে তৈরি নিবিড় কারুকাজে নানা রকমের আসবাবপত্রে বাজারে ছিল সয়লাভ।
কালের পরিবর্তনে প্লাস্টিক আসবাবপত্রের কারণে মাটির তৈরি সরঞ্জাম দিন দিন বিলুপ্তি হচ্ছে। শেরপুর জেলার ২টি উপজেলায় মাটির তৈরী আসবাবপত্র ও শিশুদের খেলনা প্রত্যেকের ঘরের সৌন্দর্য রক্ষার্থে শোভা পেত। যুগের পরিবর্তনে মাটির তৈরি হাড়ি পাতিল, মাটির ব্যাংক, গাদলা, চুলা, ডাকনা , ফুলের টব সহ নানা জাতের মৃৎ শিল্প এখন বাজারে প্লাস্টিকের সরঞ্জাম আমদানির ফলে মাটির তৈরি আসবাবপত্র ক্রয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে প্রায়ই জনতা। শিশুদের মাটির তৈরি নানা প্রকারের খেলনা ক্রয়ক্ষমতার মধ্য থাকলেও এখন বাজারে পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে অনেকেই প্লাস্টিক ও চায়না খেলনা ক্রয় করতে হচ্ছে বাজার থেকে ।
মৃৎ শিল্পের কয়েকটি আসবাবপত্রের চাহিদা বাজারে থাকলেও শিল্পীরা মাটি, লাকড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির ফলে তাদের চাহিদামতো আসবাবপত্র তৈরি করতে পারছে না। জমিজমা না থাকার ফলে তাদের বাপ দাদার পেশা হিসাবে পাল পরিবাররা একাজ ধরে রেখেছেন অনেকেই । তাদের ছেলে মেয়েরা যেন এ কাজ না করে তা আক্ষেপ করে বলেন আমাদের পৃষ্টপোষকতা ও সরকার দৃষ্টি না দিলে মৃৎ শিল্প মৃত হয়ে যাবে বলে তারা জানান।
এ শিল্পকে বাচাঁতে কিছু উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন জানিয়ে শেরপুর তিন আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, মাটির তৈরি সকল কিছু ব্যবহার করা নিরাপদ। আধুনিক যুগে নানা রকমের সরঞ্জাম বাজারে আসার ফলে এ শিল্পের কদর হারাচ্ছে । এবার আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলে এ শিল্পকে ধরে রাখার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং এ শিল্পকে বাচাঁতে তাদের সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান । ঐতিহ্যবাহী মৃত শিল্পকে ধরে রাখার জন্যে বিএনপি সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এমনি প্রত্যাশা এই শিল্পে জড়িত শিল্পী ও ঝিনাইগাতীবাসীদের।