ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার মক্তবে পড়তে যাওয়া (৮) বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত মসজিদের ঈমাম মোজাম্মেল হক (২২) কে চরভদ্রাসন থানার এসআই এনামুল হক খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকষ দল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গত রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টায় ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোহাম্মাদিয়া মাদ্রাসা থেকে অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করেন। মামলা হওয়ার ৭২ঘন্টার মধ্যে ধর্ষককে গ্ৰেফতার করায় পরিবার সঠিক বিচার পাওয়ার আসা ব্যাক্ত করে ধন্যবাদ যানান। সকালে মোজাম্মেল হককে ফরিদপুর বিচারকি আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, মোজাম্মেল হক উপজেলার উত্তর আলমনগর গ্রামের মোল্যা বাড়ী জামে মসজিদে ঈমামমি করতো এবং সকালের মক্তবে শিশুদের আরবী পরাতো। গত ৪ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় মোজাম্মেল হক মক্তবের অন্যান্য শিশুদের ছুটি দেওয়ার পর এক কন্যা শিশু (৮) কে আলাদাভাবে পড়ানোর অজুহাত দিয়ে মসজিদে রেখে দেয়। পরে উক্ত শিশুকে মসজিদের ভিতরে নিয়ে ধর্ষন করে বলে অভিযোগ ঈমামের বিরুদ্ধে। শিশুটি অসুস্থ্য অবস্থায় বাড়ীতে এসে তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে চরভদ্রাসন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলা নং-০৩, তাং-০৫/১২/২০২৫খ্রি.।
শিশু ধর্ষনে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হকের বাড়ী নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামে। সে উক্ত গ্রামের আব্দুল হাই এর ছেলে। মোজাম্মেল হক উপজেলার জামিয়া ইসলামিয়া মারকাযুল উলুম আবদুর শিকদারের ডাঙ্গী মাদ্রাসায় মাওলানা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। সে পড়াশুনার পাশাপাশি উপজেলার আলমনগর গ্রামের মোল্যা বাড়ী জামে মসজিদে ঈমামতি করে আসছিল। ঘটনার দিন সকালে উক্ত ঈমাম একই গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের কন্যা শিশুকে সুকৌশণে মসজিদের মধ্যে ধর্ষন করে বলে অভিযোগ। উক্ত মাদ্রাসায় এর আগেও একাধিক বলদকার ও অপকর্মের ঘটনা রয়েছে। কোন ঘটনার সঠিক বিচার না হওয়ায় তা চলমান রয়েছে। অত্র মাদ্রাসায় স্থানীয়োদের চেয়ে বহিরাগত শিক্ষক ও ছাত্রের আধিপত্য বেশি রয়েছে বলে অভিযোগ ।