অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন করা এক বৃদ্ধার চোখে দুশ্চিন্তার ছাপ, মুখে দীর্ঘশ্বাসের রেখা। দিনকে দিন একাকিত্ব আর অভাব তার জীবনকে আরও কঠিন করে তুলছিল। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া শরীর, সংসার বলতে কেউ নেই, আর কষ্টের দিনগুলো যেন তাকে আরও নিঃসঙ্গ করে তুলেছে। বলছিলাম শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের মাদারীপুর এলাকায় অসহায় ও মানবেতর বাস করা বৈদি নামের বৃদ্ধার কথা।
এমন সব দুঃখ ও দুর্দশার কথা জানতে পেরে ঘরের ভাঙা বেড়ার ফাঁক দিয়ে দিনের শেষ আলো একটু একটু করে ঘরে ঢুকছিল; ঠিক ওই সময় হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল।
ওই বৃদ্ধার দুর্দশার খবর পেয়ে ইউএনও নিজে গিয়ে খোঁজখবর নেন ও তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্যসামগ্রী, নগদ সহায়তা এবং কম্বল প্রদান করেন। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ভিত্তিতে বৃদ্ধার জন্য সরকারি সুবিধা ও ঘরের ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দেন তিনি।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের 'বিউটি অব ঝিনাইগাতী' নামের গ্রুপের এডমিন স্বেচ্ছাসেবী পারভেজের মাধ্যমে ওই বৃদ্ধার আর্থিক অনটন ও বাসস্থানের করুণ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন ইউএনও।
ইউএনও’র এমন মানবিক উদ্যোগে এলাকাবাসী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ইউএনও মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে খবর পেয়ে এই মায়ের বাড়িতে এসে যা দেখলাম তা সত্যিই দুঃখজনক। প্রতিটি অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে প্রশাসন সবসময় আছে এবং থাকবে। এটি আমাদের মানবিক দায়িত্ব।