আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ একযোগ মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহত সংগঠন দি মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল। নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতার দাপটে নিয়ন্ত্রিত হতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম। কিন্তু ৩৬ শে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পাল্টেছে পরিস্থিতি। অবশেষে দীর্ঘ ১২ বছর পর উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির দ্বি বার্ষিক নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে চেম্বার ভবনে স্থাপিত ভোট কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে এসোসিয়েট ও অর্ডিনারী মিলে মোট ভোটার রয়েছেন ৬৬৭জন।এতে বিএনপি সমর্থিত ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম নামে একটি প্যানেল ও জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত মৌলভীবাজার সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ নামে দুটি প্যানেল নির্বাচন যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। এছাড়াও স্বতন্ত্রসহ মোট ৩৭জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন ওই নির্বাচনে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, শহরের কলিমাবাদ এলাকার চেম্বার ভবনে অবস্থিত ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা উৎসবের আমেজে পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। দীর্ঘদিন পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট দিতে পেরে খুশি প্রকাশ করছেন ভোটার ও প্রার্থীরা। চেম্বার ভবনে স্থাপিত ভোট কেন্দ্রে মোট বুথ রয়েছে ১৬ টি। এর মধ্যে এসোসিয়েট ৬ টি, অর্ডিনারী ৮ টি ও বিশেষ ২টি।
নির্বাচনের পর্যবেক্ষক ও অতিরিক্ত প্রিজাইডিং অফিসার ড. মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, বিগত দিনে দেশে একটা স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী সরকার ছিল। সর্ব ক্ষেত্রে তাদের ফ্যাসিবাদী থাবা সবার উপরে চালিয়ে দিতে চেয়েছিল। আমি মনে করি মৌলভীবাজার চেম্বারে ফ্যাসিবাদী কায়দায় নির্বাচনটা সঠিক সময়ে করেনি। এখন নতুন বাংলাদেশে সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে।
এ দিকে নির্বাচন কার্যক্রম সরেজমিন দেখতে চেম্বার ভবনে আসেন মৌলভীবাজার-৩ আসনে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান ও মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন। এছাড়াও নির্বাচন কার্যক্রমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যদেরও সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে।