পাবনার ঈশ্বরদীতে পাওনা টাকা না পেয়ে আজাদ হোসেন (৩৩) নামের এক যুবককে রাস্তায় ফেলে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার(১১ ডিসেম্বর)সকালে উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের চররুপপুর জিগাতলা মোড়স্থ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজাদ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার জোতখা মুন্সি বাজার এলাকার মোঃ আলী আজমের ছেলে। তিনি ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের চররুপপুর জিগাতলা এলাকাস্থ দ্বিতীয় স্ত্রী বর্ষা খাতুনের বাবা বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে থাকতেন। শ্বশুড়বাড়ি থেকেই আজাদ ঈশ্বরদী ইপজেডের জাপানিদের মালিকানাধীন নাকানো ইন্টারন্যাশনাল কম্পানি লিমিটেডে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
ঘটনার সময় নিহত আজাদের ২য় স্ত্রী মোছা. বর্ষা খাতুন জানান, পূর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে তার স্বামী আজাদ হোসেন ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর বালুরখাদ এলাকার আজিবুর রহমানের ছেলে অটোচালক রনির নিকট থেকে প্রায় তিনমাস আগে ১৫ হাজার টাকা ধার নেন। এই টাকা সঠিক সময়ে ফেরত না দেওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। ঘটনার দিন সকাল বেলা তিনি তার স্বামী আজাদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে পাবনা-পাকশী বগামিয়া রোডের চররুপুপর জিগাতলা মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এই সময় অটো নিয়ে আসার সময় রনি আমাদের দেখতে পেয়ে অটো থামিয়ে আমার স্বামী আজাদের নিকট থেকে ধারের টাকা ফেতর চান। আমার স্বামী কিছুদিন পরে টাকা ফেরত দিবেন বলে জানালে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায় আমার স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার উপর ফেলে দেন। এরপর আমার স্বামীর দেহের উপর দিয়ে অটো চালিয়ে প্রায় বেশ কিছুদূর ছেঁচড়ে নিয়ে যান। এই সময় তার চিৎকারের লোকজন চলে আসলে অটো নিয়ে রনি পালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মহিদুল ইসলাম জানান, রাস্তার সঙ্গে ছেঁচড়ে গিয়ে আজাদ গুরুতরভাবে আহত হন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মমিনুজ্জামান জানান, এটি পরিকল্পিতভাবে হত্যা। নিহত আজাদ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের বাবা আলী আজম বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। আইনগত পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।