অবুঝ ছোট্ট শিশু সাজিদ আর ফিরবে না। কিন্ত্ত তার মৃত্যু আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেল-আমাদের অবহেলা কতটা ভয়ানক হতে পারে। সমাজের কিছু মানুষের অবহেলা, লোভ আর দায়িত্বহীনতার কারণে একটি পরিবার আজ নিঃস্ব-একটি স্বপ্ন থেমে গেলো চিরতরে। অবৈধ মটর স্থাপনের জমি মালিক কোয়েলহাট পুর্বপাড়া গ্রামের মৃত তমির উদ্দিনের পুত্র কছির উদ্দিন, এসব অবৈধ মটরে যারা পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ দেন তার এবং খনন কাজে জড়িতরা যেনো আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হতে না পারে সেটা নিশ্চিত ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। কারণ এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়-এটা অবহেলার দায়, এটা অপরাধ। এদের বিরুদ্ধে সাজিদ হত্যা মামলা দিতে হবে।
সকল দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন এই দেশের প্রতিটি শিশুর জন্য সমান হোক-এই দাবি আজ আমাদের। আর কোনো সাজিদ আর কোনো মায়ের বুক খালি হওয়া আর কোনো পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে যাওয়া-বাংলাদেশের কোথাও যেনো আর না ঘটে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বিচার চাই-দ্রুত, স্বচ্ছ ও দৃষ্টান্তমূলক। সাজিদকে হারানোর এই যন্ত্রণা যেনো আর কোনো পরিবারকে স্পর্শ না করে।সাজিদের মৃত্যুর দায় কি কেউ নিবে ? সাজিদের পরিবার কি ন্যায় বিচার পাবে ? না কি অন্যকোন ঘটনার আড়ালে সাজিদ ট্র্যাজেডি চাপা পড়ে যাবে।
আর এসব অবৈধ সেচ পাম্পের বোরিং কারিরা অধরায় থাকবে। আবার কখানো কোনো সাজিদের মৃত্যু হলে সবাই নড়েচড়ে বসবে। রাস্ট্র, সমাজ বা প্রশাসন কি স্বপ্রণোদিত হয়ে এই অবুঝ শিশু সাজিদ ট্র্যাজেডির বিচার করতে পারে না। আওয়ামী মতাদর্শী কছির উদ্দিনের যদি কোনো দায় না থাকে তাহলে ঘটনার পর পরই তিনি আত্মগোপণে কেন ?
অন্যদিকে বিপদজনক স্থানগুলো সুরক্ষিত রাখা কেবল প্রশাসনের একার কাজ নয়, এটি আমাদেরও সবার ঈমানী দায়িত্ব। আল্লাহ সাজিদকে জান্নাতের পাখি হিসেবে কবুল করুন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্যধারণের তাওফীক দিন-আমীন।#