আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন-২৬৩, চাঁদপুর-৪, ফরিদগঞ্জ আসনের জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) মনোনীত প্রার্থী লায়ন মোঃ হারুনুর রশিদ শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের সর্বত্রই ব্যতিক্রমী প্রচারণা চালিয়ে ভোটরদের নজর কেড়ে চলেছেন। তিনি বিএনপি’র কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক ও বিগত নবম জাতীয় সংসদে অত্র আসনের নির্বাচিত সাংসদ। চলতি বছরের ৩ নভেম্বর বিএনপি’র কেন্দ্রিয় কমিটি ২৩৭ টি আসনে তাদের প্রার্থীদের চুড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষনা করার (এই তালিকায় তিনি রয়েছেন) পর থেকেই তিনি এই প্রচারণা চালানো অব্যাহত রেখেছেন। ইতিমধ্যে গত ১১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়েছে। তফসিল ঘোষনার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত বিএনপি’র কেন্দ্রিয় কমিটি অত্র আসনে প্রার্থীর তালিকায় তাঁর মনোনয়ন চুড়ান্ত রাখে। 

দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, কেন্দ্রিয়ভাবে মনোনয়ন ঘোষনার পর থেকেই জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) মনোনীত প্রার্থী লায়ন মোঃ হারুনুর রশিদ পুরো উপজেলা চষে বেড়াচ্ছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা, উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশ, কেন্দ্র কমিটি গঠনসহ নানাবিধ কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি প্রত্যেকটি ভোটারের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ১৫টিœ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ সর্বত্র অর্থ্যাৎ শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলের হাঁটে-ঘাটে, মাঠে ছুটে চলা এই প্রাথী হঠাৎই এক বাড়িতে ঢুকে পড়েন। এসময় নারী ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময়ের ফাঁকে নিজেই ওই ভোটারের উনুনে চড়ানো মাছ-মাংস রান্না করছেন। মাঠে কৃষক কোঁদাল নিয়ে মাটি কাটছেন দেখে ওই কৃষকের সাথে কথা বলার ফাঁকে নিজেই কোঁদাল দিয়ে মাটি কাটছেন। রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে ঢুকে দোকানির সাথে কথা বলার মাঝেই নিজে চা বানিয়ে উপস্থিত লোকজনকে নিজ হাতে পরিবেশন করছেন। আবার, রাস্তা দিয়ে ছুটে চলা ছোট-ছোট যান যেমন, অটো-রিক্সা, সিএনজি স্ক্রুটার, রিক্সা চালকদের সাথে মত বিনিময় করে সেই যানের চালককে যাত্রী বানিয়ে নিজেই সেই যানটি চালাচ্ছেন। সভা-বেশে নিজেই জনসাধারণের মাঝে বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত ৩১ দফা’র লিফলেট বিতরণ করছেন। ভোটাররাও তাঁকে কাছে পেয়ে আবেগে-আপ্লুত হয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে বুকে টেনে নিচ্ছেন। ফলে, তাঁর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কারণে সাধারণ ভোটারদের মাঝে তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যে এধরনের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বিএনপি’র প্রবীণ কয়েকজন নেতা জানান, নবম জাতীয় সংসদে সাংসদ থাকার সময়ও তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। নেতাকর্মীদের পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন। কারো পিতা-মাতা কিংবা পরিবারের কেহ মারা গেলে মৃত ব্যক্তির জানাযায় অংশ গ্রহন করে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট আ’লীগ সরকারের আমলে উপজেলা বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের নামে হওয়া মামলায় নেতাকর্মী পাশে দাঁড়ানো, মামলা পরিচালনার ব্যয় ভার বহনসহ বিপদে-আপদে সব-সময় নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন। অনেকের মতে, ফরিদগঞ্জ আসনটি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ঘাঁটি বা দুর্গম। এখানে মনোনয়ন নিয়ে গ্রæপিং কিংবা নেতৃত্বের ভেদাভেদ থাকবেই। তবে প্রবীণ ও সাধারণ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা প্রতিক হিসাবে ধানের শীষকেই বেছে নিবে। তাদের মতে, ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে যিনিই আসবেন ভোটাররা নিঃসন্দেহে তাঁর পক্ষেই রয়েছেন বা থাকবেন। লায়ন মোঃ হারুনুর রশিদ এমনিতেই জনপ্রিয় নেতা। বর্তমানে তাঁর এধরনের ব্যতিক্রমী প্রচারণা তাঁকে শুধু নেটিজেনদের কাছে নয়, সর্ব্বপরি সকল স্তরের ভোটারের কাছে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে। এতে করে আগামী ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রæয়ারী অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর বিজয়ী হওয়ার পথ সুগম হবে।