লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নে নুরুল্লাপুর হাজী কালামিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার জমি উদ্ধার করেছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এসময় দুবৃর্ত্তদের হামলায় প্রতিষ্ঠানটির সভাপতিসহ অন্তত: তিনজন আহত হয়েছে। রোববার দুপুরে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নে নুরুল্লাপুর হাজী কালামিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা এলাকায় এঘটনা ঘটে। এর আগে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকটি গাছপালা কেটে স্থাপনা নির্মাণ করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন শিপন নামে এক ব্যক্তি।
শিপন একই এলাকার মোল্লা বাড়ির নুরুল আমিনের ছেলে ও প্রতিষ্ঠানটির জমিনদাতার ওয়ারিশ।
শিপন বলেন, জায়গাটি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। মালিকানার নথি অনুযায়ী আমি মালিকানা দাবী করছি।
প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ঢাকা থেকে এসে পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে অংশ নেন। প্রতিষ্ঠানটির জমি জোর করে শিপন দখল করে ঘর নির্মাণ করে। রোববার সভাপতি আসার আগেই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তা উচ্ছেদ শুরু করে। এসময় স্থানীয় বখাটে এমরান ও আশিকসহ বেশ কয়েকজন বহিরাগত বখাটে যুবক এসে হামলা চালায়। এসময় বাধা দিতে গিয়ে সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
প্রতিষ্ঠানটির সুপার মুহাম্মদ আবদুল মোনয়েম জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি বেদখল যাতে না হয় সেদিকে তিনি নজরদারি করছেন। সম্প্রতি শিপন নামের ওই যুবক জোর করে প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল করে কয়েটি টিনের ঘর নির্মাণ করলে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন। জমি দখলকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র অসেন্তাষ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চরশাহী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসনাত জানান, শিপন জোর করে প্রায়ি ২০ শতক সম্পত্তি দখল করেছে। ওই সম্পত্তিগুলো মাদ্রাসা দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছে।
মাদ্রাসাটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুর রহমান জানান, মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক শেষ করে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে দখলমুক্ত জমি পরিদর্শন করতে যাই। এসময় প্রতিষ্ঠানটির সুপারের সাথে বহিরাগত বখাটে দুই তিনজন উচ্চবাচ্য করতে গেলে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ শুরু করে। এসময় তাদেরকে প্রতিষ্ঠানে বসে কথা বলতে অনুরোধ করলে তারা আমার ওপর চড়া হয়। এসময় বখাটেদের হামলায় আমি রক্তাক্ত হই।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মোরশেদ আলম বলেন, এঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।
এঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয়রা।