যোগদানের পর কর্ম এলাকা ঘুরে দেখতে গিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখা (ডিএসবি) পাবনা ঈশ্বরদীর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও এএসআই’র সড়ক দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। কার্ভাড ভ্যান নিয়ে পালিয়ে গেছেন চালক।মঙ্গলবার(১৬ ডিসেম্বর) দুপুর পনে ১২ টার দিকে লালন শাহ সেতুর দক্ষিণা অঞ্চল কুষ্টিয়া ভেড়ামারা সেতু সংলগ্ন গোলচত্তরে এই দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ওসির নাম মো. মোজাহারুল ইসলাম। তিনি রংপুর পীরগাছার ইটাকুমারী এলাকার মৃত নূর মোহাম্মাদের ছেলে এবং এএসআই’র নাম মো. কয়েস উদ্দিন। তিনি রাজশাহী তানোরের রাতৈল এলাকার কছিমদ্দিনের ছেলে।
ঈশ্বরদী ও ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জদ্বয় ও লালন শাহ সেতু টোল আদায়কারীরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। লালন শাহ টোল আদায়কারী ও ডিএসবি ঈশ্বরদীর একাধিক
কর্মকর্তার সুত্র জানান, নন্দিগ্রাম থানার ওসি মো. মোজাহারুল ইসলাম বদলী হয়ে গত তিনদিন আগে ঈশ্বরদীতে ডিএসবি শাখার ওসি হিসেবে যোগদান করেছেন। ঘটনার দিন সকালে মোটর সাইকেল যোগে ডিএসবি ঈশ্বরদীর এএসআই মো. কায়েস উদ্দিনের কর্ম এলাকা পাকশী ঘুরে দেখতে যান। এক পর্যায় তঁারা দুজন লালন শাহ সেতুতে উঠেন। সেতু ঘুরে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার দিকে মোটর সাইকেলটি ইউট্রার্ন নিয়ে পূর্নরায় ঈশ্বরদীর দিকে আসার জন মোড় নিতে যান। এই সময় পেছন থেকে একটি কার্ভার্ড ভ্যান তাদের মোটর সাইকেলটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, নিহত দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে ভেড়ামারা সদর হাসপাতালে আনা হয়। সেখান থেকে হাইওয়ে থানার মাধ্যমে মরদেহ ঈশ্বরদী থানায় পৌছানো হবে। ঘাতক কার্ভার্ড ও চালককে আটক করতে অভিযান চলছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মমিনুজ্জামান জানান, সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত পুলিশের দুই কর্মকর্তার মরদেহ থানায় আনার প্রস্তুতি চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। লালন শাহ সেতুর সিসি টিভির ফুটেজ দেখে ঘাতক কার্ভার্ড ভ্যানকে সনাক্ত করা হয়েছে। চালকসহ কার্ভার্ড ভ্যানটি আটকের চেষ্টা চলছে।