চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে একটি মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিয়ে উধাও হয়েছেন একজন সহকারি শিক্ষক। উপজেলার লক্ষীপুর কাশেমিয়া আলিম মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষক (আরবী) তালহা খাঁনকে শোকজ করে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল খায়ের মো. রুহুল আমিন। শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের জেরে এমন ঘটনায় ওই এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার রবিদাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা তালহা খান গত ফেব্রুুয়ারি ২০২৩ সালে ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপুর কাশেমিয়া আলিম মাদ্রাসায় সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ব্যক্তি জীবনে বিবাহিত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে দায়িত্বাধীন মাদ্রাসার ৯ ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর সাথে কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিষয়টি বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা টের পাওয়ায় গত রবিবার (৭ ডিসেম্বর) অভিযুক্ত শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে বিচার প্রার্থনা করেছেন।
এদিকে একই মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর এমন প্রেম ঘটিত এমন ঘটনায় অন্যান্য শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
লক্ষীপুর কাশেমিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল খায়ের মো. রুহুল আমিন বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর ডাক যোগে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এর আগে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে পোঁছে দেয়া হয়েছে। তালহা খান বিবাহিত মানুষ। তাকে মাদ্র্রাসায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য নয়। তালহা খানদের মতো শিক্ষকদের বিচার হওয়া প্রয়োজন। আমি শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয়গণসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষার্থে ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গাউছুল আজম বলেন, ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষের শৌকজের আলোকে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।