× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

নবীনগরে ৩ মাসেও হয়নি জুঁই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন

শেখ মিহাদ নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি:

১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৮ পিএম

ছবি: সংবাদ সারাবেলা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের লাউর ফতেহপুর উত্তর পাড়ার সরকার বাড়ির ফারজানা আক্তার জুঁই মৃত্যুর ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও হয়নি রহস্য উদঘাটন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালে জুঁই নিখোঁজের ঘটনায় নবীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন মৃতের রাজমিস্ত্রী বাবা আবুল হাসনাত রানা। পরের দিন কচুরিপানা ভর্তি পাশের বাড়ির পুকুর থেকে তার মৃত দেহ উদ্ধার করেছিলো নবীনগর থানা পুলিশ। মৃত দেহ উদ্ধারের পর জ্বীনে নিয়ে হত্যা করেছে বলে এলাকায় হুজুগ উঠলেও ময়না তদন্তে উঠে আসে শ্বাসরোধে তার মৃত্যুর কারন। এতে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। আসামী শনাক্ত না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানিয়রা। ৩ ভাইয়ের মধ্যে ১ বোনকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ গোটা পরিবার। সদ্য ইন্টারমিডিয়েট পাশ করা মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন ছিলো তাদের। 

জুঁইয়ের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের অভিযোগ প্রতিবেশি বকুল খন্দকারের ছেলে  মালয়েশিয়া প্রবাসী সুজন মিয়া, মৃত জজ মিয়ার ছেলে অলি মিয়া ও একিই গ্রামের ভাগ্নে হিসেবে পরিচিত জায়েদা বেগমের ছেলে অটোরিক্সা চালক মামুন মিয়ার প্রতি। এদিকে প্রবাস থেকে ছুটিতে আসা সুজন মিয়া গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। পরিবারের সূত্রে জানা যায়, জুঁই নিখোঁজ হওয়ার রাতে হাঁস পার্টি করেন প্রতিবেশি সুজন মিয়া, অলি মিয়া ও মামুন মিয়াসহ তার বন্ধুরা। তাদের হাঁস পার্টির ভিডিও দেখিয়ে কাঁদছিলেন মৃত জুঁইয়ের মা জেসমিন বেগম।

 জুঁইয়ের বাবা আবুল হাসনাত রানা জানান, আমি অতো কিচু বুঝি না। হেরা এলাকার ক্ষমতাশালীরার আত্মীয়। পুলিশ কয়েকদিন আইয়া ক’ আমি কাউরে সনদেহ অইলে ধইরা পুলিশরে খবর দিতাম। আমি সুজন,অলি, মামুনের কতা কইচি হেরারে ধইরা জিগাইতো। 

জুঁইয়ের মা জেসমিন বেগম জানান, আমার মাইয়া সুজনের ছোডু মাইয়ারে পড়াইত। মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে মন খারাপ কইরা থাকতো। আমি কইতাম কিরে পড়াইতি যাস না ক্যারে? হে কইত, আমি আর পড়াইতাম না। সুজন ভাই কুপ্রস্তাব দে। আমি আরো মাইয়ারে দমকাইছি।

পলশা মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন জানান, সুজন, অলি, মামুন হেরা নেশাখোর। জুঁই নিখোঁজের দিন হেরা হাঁস পাটি দিচে। সহালে যহন সবাই জুঁইরে খুঁজাখুঁজি করতাছে তহন সুজনরা ঘর থেইক্কা কেও হারাদিন বাইর অইচে না। সুজনের মা ক’ সুজন নাকি টেনশনে হারা রাইত ঘুমাচে না। জুঁই নিখোজের খবর ছড়ছে সহালে, হে ক্যারে হারা রাইত ঘুমাইচে না!

আমির হোসেনের স্ত্রী নিপা জানান, সুজনরা ঘরের লগের পুষ্কুরনিত সুজনের চাচাতো ভাই মনির ফেনা (কচুরিপানা) ভাঙ্গত গিয়া জুঁইয়ের লাশ পাইয়া খবর দিচে ফরে লাশ তুলচে।

সফিকুল মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা বেগম জানান, জুঁইয়ের মতো ইমুন ভালা মাইয়া আছিল না। জুঁই সুজনের মাইয়ারে পড়াইত। সবাই হেরারে অই সনদেহ করে। 

লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান,  জুঁইয়ের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় হতাশ এলাকাবাসী। আমরা চাই দ্রুত এ ঘটনার রহস্য উম্মোচন হউক।  নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, আমি সদ্য এ থানায় জয়েন করেছি। এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্বে থাকা আইও বিস্তারিত বলতে পারবেন। তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তদন্তের সার্থে আমরা এই বিয়ষে এখনো কিছু বলতে চাচ্ছি না।তদন্ত শেষে আমরা এটার তথ্য দিয়ে সাহায্য করবো।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.