নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার পর্নোগ্রাফি আইন মামলার আসামী সবুজ খান (৩৫) কে ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মুহিত কবীর সেরনিয়াবাত এর স্বাক্ষরিত "প্রেস রিলিজ" এ তথ্য জানা যায়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ও র্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার, ঢাকা এর যৌথ আভিযানিক দল গতকাল রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন দোসাইদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র আসামী সবুজ খান (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়।
এজাহার পর্যালোচনায় জানা যায় বাদীনি ও আসামী সবুজ (পিতা-লুৎফুর রহমান, মাতা-ছমিরন নেছা, গ্রাম বানিয়াপুর, চিলাহাটী, পল্লী পঞ্চগড়, থানা-দেবীগঞ্জ, জেলা-রংপুর)
এর মধ্যে ফেসবুকে পরিচয় এবং পরবর্তীতে মোবাইলে বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্বের সুবাদে আসামী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীনির সাথে হোয়াটসএ্যাপ, ইমো ও মেসেঞ্জারে অডিও এবং ভিডিও কলে আপত্তিকর অবস্থায় কথা বলতে থাকে। ভিডিও কলে কথা বলার এক পর্যায়ে উক্ত আসামী কৌশলে বাদীনির অজান্তে বিভিন্ন ভিডিও ধারণ করে এবং উক্ত ভিডিও বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ছেড়ে দিবে মর্মে বাদীনিকে হুমকি দিয়ে ৫লক্ষ টাকা দাবী করে।
বাদীনি অসহায় হয়ে উক্ত আসামীর নম্বরে পঞ্চাশ হাজার টাকা পাঠায়। পরবর্তীতে আসামী পুনরায় বাদীনির আপত্তিকর ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিবে হুমকি দিয়ে বাদীনির নিকট হতে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধাপে ১লক্ষ বিশ হাজার টাকা বাগিয়ে নেয়।
অবশিষ্ট তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা দিতে হুমকি দিতে থাকে। টাকা না দেওয়ায় আসামী বাদীনির আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও বিভিন্ন চ্যাটিং গ্রুপ ও অনলাইনে ছেড়ে দেয় এবং কাউকে কিছু বললে হত্যা করবে মর্মে হুমকি দেয়। এতে বাদীনি মানসিকভাবে বিপর্যন্ত ও নিরুপায় হয়ে পড়ে।
পরে বাদীনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করে । মামলা করার পর হতেই আসামী সবুজ পলাতক ছিল। গ্রেপ্তাতার হওয়া আসামী সবুজ ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করে। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।