লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান চোরাচালান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন বিওপির বিশেষ টহলদল ০২টি পৃথক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় মদ ও ভারতীয় নেভিয়া সফট ক্রিম জব্দ করেছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদকবিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার করবে। উক্ত তথ্যানুযায়ী, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ১১টার দিকে অনন্তপুর বিওপি’র আওতাধীন পশ্চিম রামখানা, নাগরাজ (থানা-ফুলবাড়ী, জেলা-কুড়িগ্রাম) নামক স্থানে বিজিবির টহলদল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালীন কতিপয় সন্দেহজনক ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করে বিজিবি টহল দলের সদস্যরা ধাওয়া করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে দৌড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। পরবর্তীতে ফেলে রাখা মালামাল তল্লাশী করে ভারতীয় কওঘএঋওঝঐঊজ (মদ) ০৫ বোতল উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, গত ২০ ডিসেম্বর ভোর আনুমানিক ৭টার দিকে বাগভান্ডার বিওপি’র আওতাধীন বাগভান্ডার সুইচগেট নামক স্থানে (থানা-ভুরুঙ্গামারী, জেলা-কুড়িগ্রাম) নামক স্থানে টহল পরিচালনাকালীন চোরাকারবারীদের গতিবিধি টের পেয়ে টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে দৌড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। পরবর্তীতে ফেলে রাখা মালামাল তল্লাশী করে ১২৫টি ভারতীয় নেভিয়া সফট ক্রিম উদ্ধার করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত মাদক, ভারতীয় মদ ৫ বোতল, যার সিজার মূল্য ৭,৫০০ টাকা এবং ভারতীয় নেভিয়া সফট ক্রিম ১২৫ টি, যার সিজার মূল্য ১৮,৭৫০ টাকাসহ সর্বমোট সিজার মূল্য ২৬,২৫০ টাকা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার “লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি” বলেন, “দেশের যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। মাদক পাচার রোধে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে বিজিবি’র গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।”