বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে ফেইসবুকে কটাক্ষ করায় সোনাগাজী আল-হেলাল একাডেমির প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুককে শোকজ করা হয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন আল-হেলাল সোসাইটির সেক্রেটারি ও পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মো: মহসিন ভূঞা। তিনি বলেন, ভুল বুঝতে পেরে ওমর ফারুক ফেইসবুকে দেয়া তার স্ট্যাটাস মুছে ফেলেছেন। এদিকে তার অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন সোনাগাজী পৌর বিএনপি।
আহবায়ক মঞ্জুর হোসেন বাবর ও সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন। পৌর বিএনপির আহবায়ক মঞ্জুর হোসেন বাবর বলেন, ওমর ফারুক আগে আওয়ামী লীগ করতেন। বিদ্যালয়টিকে বাণিজ্য কেন্দ্র বানিয়ে তিনি বহু টাকার মালিক বনে গেছেন।
ফেনী ও ঢাকা সহ বিভিন্নস্থানে জমি ফ্ল্যাট ক্রয় করে এখন চোখেমুখে শস্যফুল দেখছেন। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, ওমর ফারুক ফেনীর নিজাম হাজারীর পা চাটা গোলাম ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিজাম হাজারীর পা চেটে তিনি বিদ্যলয়টির প্রধান শিক্ষক পদ ভাগিয়ে নেন। তিনি এখন রীতিমত জামায়াত নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। তাকে বিদ্যালয়টি থেকে অপসারণ করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারণ দাবি করে ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
উল্লেখ্য যে, সোনাগাজী আল-হেলাল একাডেমির প্রধান শিক্ষক তার ফেইসবুক আইডিতে লেখেন- শোনা যাচ্ছে নেতা মুচলেকা দিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন, এখন মুচলেকা দিয়ে দেশে ফিরতে পারেন, ছি: এ জীবনের! এর চেয়ে মৃত্যু অনেক শ্রেয়। বিড়ালের মত ১০০ বছর বাঁচার চেয়ে সিংহের মত ১ ঘন্টা বাঁচাই উত্তম। যার প্রমাণ শরীফ ওসমান হাদি। এই স্ট্যাটাসটির স্ক্রিণ সর্ট নিয়ে অতীতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে থাকা ছবি ও স্ট্যাটাস দিতে থাকে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুকের বক্তব্য জানার জন্য ফোন দিলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।