জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ রবিবার (২১ ডিসেম্বর)পর্যন্ত নয়জন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিভিন্ন অপরাধের মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হাসমত আলী হাসু (৩৬) ডোমার উপজেলার ভোগড়াবুড়ি ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক (৩৫)
জলঢাকা উপজেলার করাতকল শ্রমিক ঐক্য লীগ পরিষদের সভাপতি জামাদুল ইসলাম (৪৭) জলঢাকার বালাগ্রাম ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসা আলী (৪০) কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জগদীশ চন্দ্র বর্মন (৫৭) কিশোরগঞ্জের পুটিমারী ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান (৪০) নীলফামারী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আবু সাঈদ (৪০) সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন (৩৩) সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য মেজবাউল আরেফিন ইসলাম (৩৮), যিনি ইতিমধ্যেই কারাগারে অন্য একটি মামলায় বন্দী।
পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করতে ভবিষ্যতেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এই নয়জনসহ গত পাঁচ দিনের বিশেষ অভিযানে মোট ৩০ জন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার মধ্যে ১৭ ডিসেম্বর চারজন, ১৮ ডিসেম্বর সাতজন, ১৯ ডিসেম্বর পাঁচজন, ২০ ডিসেম্বর পাঁচজন এবং ২১ ডিসেম্বর নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।