লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভারতীয় গরু, জিরা, চিনি ও অন্যান্য মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি।
বিজিবি জানায়, বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দিঘলটারী বিওপির একটি বিশেষ টহলদল ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে আদিতমারী উপজেলার কাওয়ারচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ভারতীয় সীমান্ত দিক থেকে কয়েকজন চোরাকারবারী গরুসহ বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এতে চোরাকারবারীরা গরু ফেলে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ২টি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়।
অন্যদিকে, একই বিওপির আওতাধীন নামাটারী এলাকায় ২১ নভেম্বর সাড়ে ৯টার দিকে টহল চলাকালে সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে বাইসাইকেলযোগে আসতে দেখে বিজিবি তাকে চ্যালেঞ্জ করে। এতে ওই ব্যক্তি বাইসাইকেল ফেলে ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তল্লাশি চালিয়ে ১২ কেজি ভারতীয় জিরা, ৩৮ কেজি চিনি, ১০ কেজি ফুসকা, একটি কম্বল এবং একটি বাইসাইকেল জব্দ করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় গরু ২টি (সিজার মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) জিরা ১২ কেজি (১২ হাজার টাকা) চিনি ৩৮ কেজি (৪ হাজার ১৮০ টাকা) ফুসকা ১০ কেজি (২ হাজার ৫০০ টাকা) কম্বল ১টি (৮ হাজার টাকা) বাইসাইকেল ১টি (৫ হাজার টাকা) সবমিলিয়ে জব্দকৃত মালামালের মোট সিজার মূল্য ২ লাখ ৮১ হাজার ৬৮০ টাকা।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি বলেন “দেশের যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধে স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
বিজিবি জানায়, এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত চোরাকারবারীদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সীমান্তে এ ধরনের সফল অভিযান চোরাচালান ও মাদকবিরোধী কার্যক্রমে বিজিবির দৃঢ় অবস্থান ও কৌশলগত দক্ষতার প্রমাণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।