মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মণিপুরি উইভিং ফ্যাক্টরি প্রজেক্টের কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন ফ্যাক্টরির পরিচালক এম,এইচ,রুবেল। গত রেবাবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব হলরুমে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি মণিপুরি বস্ত্রজাত পণ্য বাজারজাতকরণ, ব্যবসা ও দেশ ও দেশের বাইরে এর প্রসারে বিভিন্ন কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
লিখিত বক্তব্যে মণিপুরি উইভিং ফ্যাক্টরির পরিচালক এম,এইচ,রুবেল বলেন, পারিবারিক রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ছেড়ে ২০১৭ সালে মণিপুরি শাড়ির ব্যবসা শুরু করেন। একসময় শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারী রুবেল মাত্র ৯০ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে অনলাইনে এ ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে ঢাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকৃত ২০ লাখ টাকা তুলে মণিপুরি তাঁত শিল্পে বিনিয়োগ করেন। সে সময় সিলেটের বাইরের ক্রেতা -গ্রাহকেরা ধারণা করতেন মণিপুরি পণ্য শুধু শ্রীমঙ্গল ও সিলেটের কিছু মণিপুরি পাড়ায় তৈরি হয়। তিনি এ ভুল ধারণা ভাঙতে কমলগঞ্জ উপজেলার মণিপুরি অধ্যুষিত আদমপুর ইউনিয়নে মণিপুরি ফ্যাক্টরি চালু করেন।
এ উপজেলার আদমপুর, মাধবপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামে মণিপুরি তাঁতিদের বসবাস। এ শিল্পের প্রচারণায় অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু করেন। সেই প্রচারণার করার সুবাদে আজকে আদমপুরসহ আশেপাশে গ্রামগুলো মণিপুরি তাঁত শিল্প অঞ্চল হিসাবে একটা ভালো পরিচিত লাভ করেছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তাঁত শিল্পের অহংকার ঢাকাইয়া জামদানীর পরেই মণিপুরি তাঁত শিল্পের অবস্থান। সেই সাথে তাঁত বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী ও অন্যান্য কর্মকর্তার সহযোগিতায় মণিপুরি তাঁত শিল্প বাংলাদেশের জিআইপন্য হিসাবে বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি লাভ করছে। পাশাপাশি মণিপুরি উইভিং ফ্যাক্টরি দেশ বিদেশে একটা মডেল ও ব্রান্ড হিসাবেও পরিচিতি লাভ করেছে।
মণিপুরি উইভিং ফ্যাক্টরি লিমিটেড বাংলাদেশ এর বিভিন্ন হত দরিদ্র অঞ্চলে ৫ ফ্যাক্টরি বা প্রজেক্ট ও ৪ টা নিজস্ব বিক্রয় বিপনি কেন্দ্র পরিচালনা করে আসছে। এসব প্রজেক্টগুলোতে প্রায় ৮০০/৯০০ শ্রমিক সাপ্তাহিক ও মাসিক বেতন ভিত্তিতে কর্মস্থান হয়েছে।
এসব প্রজেক্টে সম্পূর্ণ দেশীয় তাঁতে তৈরি ১৫/১৬ টি মণিপুরি হ্যান্ডলুম পণ্য তৈরি হচ্ছে। মণিপুরি উইভিং ফ্যাক্টরি ২০২৬ সালে ভারতের কলকাতা ও গৌহাটিতে ২টি শো-রুম করতে যাচ্ছে বলে জানান ফ্যাক্টরির পরিচালক এম,এইচ,রুবেল।