বিজয়ের মাসে মানবিক দায়িত্ববোধের অনন্য দর্দান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত শীতার্ত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী। শীতের তীব্রতা মোকাবেলায় কাপ্তাই উপজেলার দুর্গম অঞ্চল ইছাছড়ি মারমা পাড়া, ক্যাংড়াছড়ি ও হরিণছড়া মুখ ভাইবোন ছড়া এলাকার দরিদ্র ও অসহায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাঙামাটি রিজিয়নের আওতাধীন ১০ আর ই ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এ মানবিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধানের দিকনির্দেশনায় এবং ১০ আর ই জোন কমান্ডার লে. কর্নেল এ এস এম সাদিক শাহরিয়ার, পিএসসি-এর তত্ত্বাবধানে দুর্গম পাহাড়ি পাড়াগুলোতে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১০ আর ই ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর নোমান আল হাফিজ। তিনি পাড়াবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং নিজ হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন।
এ সময় তিনি বলেন,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নয়, মানুষের বিপদে-দুর্দশায় পাশে দাঁড়ানোকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করে। দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করাই আমাদের এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।”
শীতবস্ত্র পেয়ে পাড়াবাসীরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, শীতের এই সময়ে সেনাবাহিনীর দেওয়া শীতবস্ত্র আমাদের জন্য বড় সহায়তা। তাদের সেবা ও সহযোগিতার কারণে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে দিন কাটাতে পারছি।”
স্থানীয়দের মতে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি শান্তি, সম্প্রীতি ও আস্থার বন্ধন আরও দৃঢ় করছে। তারা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও ১০ আর ই ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় মানুষের জন্য এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
মানবিকতা, সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধের সমন্বয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগ বিজয়ের মাসে পাহাড়ি জনপদে এনে দিয়েছে উষ্ণতার বার্তা।