আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নীলফামারী–৪ (সৈয়দপুর–কিশোরগঞ্জ) আসনে নির্বাচনী উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। ভোট গ্রহণের নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন সপ্তাহ আগেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী সিদ্দিকুল আলমকে সতর্ক করেছেন উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
জানা গেছে, দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর গত রাতে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে কিশোরগঞ্জ বাজার এলাকায় শো-ডাউন করেন জাপা প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, গণসংযোগ চলাকালে নেতাকর্মীরা ‘লাঙ্গল, লাঙ্গল’ স্লোগান দিতে দিতে বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় নেতাকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণও করা হয়।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোট গ্রহণের অন্তত তিন সপ্তাহ আগে কোনো প্রার্থী বা তার সমর্থকরা প্রকাশ্যে সভা, মিছিল, স্লোগান বা প্রচারণামূলক গণসংযোগ চালাতে পারবেন না। তফসিল ঘোষণার পর এ ধরনের কার্যক্রম স্পষ্টভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল হওয়ায় স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ঘটনার বিষয়ে প্রার্থীর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদ রানা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, “আমরা পরিকল্পিতভাবে কোনো প্রচারণা চালাতে যাইনি। কিছু অতি-উৎসাহী সমর্থকের কারণে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি এবং ভবিষ্যতে এমন কোনো কর্মকাণ্ড হবে না বলে আশ্বস্ত করেছি।”
এ বিষয়ে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তানজিমা আঞ্জুম সোহানিয়া বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আচরণবিধি মেনে চলার অঙ্গীকার করেছেন। আপাতত তাকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। তবে পুনরায় আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলে নির্বাচন আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নির্বাচনী মাঠে সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে প্রশাসন শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। স্থানীয় ভোটারদের মতে, জাপা প্রার্থীর এই ঘটনায় অন্য প্রার্থীদের জন্যও এটি একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা হয়ে থাকবে।