বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র শীত ও শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের জনজীবন। হিমেল বাতাস ও কনকনে ঠান্ডায় কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। গত সোমবার থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকলেও বুধবার রাত থেকে রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত পুরো দিন ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল চারপাশ। সূর্যের দেখা মেলেনি। কুয়াশা আর শীতের হিমেল বাতাসে কাঁপছে জনজীবন।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী। দিনমজুরদের সকাল শুরু হচ্ছে অনিশ্চয়তায়। কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে অনেকেই দেরিতে বের হচ্ছেন, আবার কাজও পাচ্ছেন না। ফলে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে কাজের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বহু মানুষকে। বিশেষ করে লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড়, বিডিআর গেট ও নয়ারহাট এলাকায় অনেকেই কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন তেমন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যাত্রী সংকটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরাও স্ট্যান্ডে ঘুরে ঘুরে শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, শীত থেকে বাঁচতে ছিন্নমূল মানুষ খড়কুটো ও কাঠ জ্বালিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিন ধরেই এমন আবহাওয়া বিরাজ করছে। রোদের দেখা নেই, শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। এতে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি-কাশিসহ শীতজনিত রোগ বাড়ছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, গত বুধবার রাত থেকে লালমনিরহাটে জেঁকে বসেছে শীত। আজ রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন কুয়াশা ও শীতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।