র্যাব-১১ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অভিযানে বেগমগঞ্জে পিটিয়ে হত্যা করে বস্তাবন্দি লাশ ফেলে চাঞ্চল্যকর জাকির হত্যা মামলার এজাহারনামীভুক্ত আসামী ইয়াবা সুজন (২৮) গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার সুজন সোনাইমুড়ি উপজেলার হীরাপুর গ্রামের হাওলা বাড়ীর সুখ মিয়ার ছেলে। রবিবার (২৮ই ডিসেম্বর) নোয়াখালী র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মুহিত কবীর সেরনিয়াবাত স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজ এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রেস রিলিজ মতে জাকির হোসেনের মাটির ব্যবসা ছিল। এ ব্যবসা নিয়ে আসামীদের সাথে পূর্ব হতে বিরোধ চলছিল। আসামীরা জাকিরকে মাটির ব্যবসা বাবদ ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হুমকি দিয়ে আসছিল।
ঘটনার দিন ১৩মে ২৫ তারিখে নিহত জাকুর বেগমগঞ্জ চৌরাস্তার পশ্চিম পাশে প্রাইম হাসপিটাল সংলগ্ন সুপার স্টার হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে হোটেল হতে বের হলে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা অপরাপর আসামীরা জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যেয়ে উপর্যুপরি নির্যাতন করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
অজ্ঞাতনামা স্থান হতে জাকিরের লাশ সিএনজি যোগে বেগমগঞ্জ থানাধীন বাংলাবাজার পলোয়ানপুলের কাছে খালে ফেলে লাশ গুম করার চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন দেখে সিএনজি ড্রাইভার আনোয়ার হোসেন ও আবুল বাশার বাবু নামে ২জন আটক করে।
সংবাদ শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জাকিরের স্ত্রী স্বামীর লাশ সনাক্ত করে। পরবর্তীতে জাকিরের স্ত্রী বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি রুজু হওয়ার পর হতে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামীরা গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে পলাতক ছিল। র্যাব-১১, সিপিসি-৩. নোয়াখালী এর আভিযানিক দল উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরম্ভ করে। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী এর আভিযানিক দল ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ইং তারিখ অনুমান ১৭.০০ ঘটিকায় নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ০৬নং আসামী সুজন প্রঃ ইয়াবা সুজন (২৮) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি সহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।