শীতার্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রবাসী সমাজসেবক রাসেদ ঢালী। তার উদ্যোগে পটুয়াখালীতে দুই শতাধিক দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালীর পাংগাশিয়া নলদোয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয়ভাবে আয়োজিত এ কম্বল বিতরণ কার্যক্রমে প্রবাসী রাসেদ ঢালীর পক্ষে উপস্থিত থেকে কম্বল বিতরণ করেন তার ছেলে নাইম ইসলাম শুভ।
এ সময় নাইম ইসলাম শুভ বলেন, আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অসহায় মানুষের কল্যাণে ব্যয় করাই আমাদের পরিবারের মূল লক্ষ্য। প্রবাসে দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে যে উপার্জন আসে, তা কেবল নিজেদের সুখের জন্য নয়, বরং সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই ব্যয় করা উচিত বলে আমরা বিশ্বাস করি। অসহায়, দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের মুখে সামান্য হলেও হাসি ফুটতে দেখাই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ও আত্মতৃপ্তির জায়গা।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবার বিশ্বাস, মানবিক সহায়তা কখনো লোক দেখানোর বিষয় নয়; বরং নীরবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত দায়িত্ব। সেই চিন্তা থেকেই নিয়মিতভাবে শীতবস্ত্র, খাদ্যসামগ্রী ও প্রয়োজনীয় সহায়তা বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমাদের এই কার্যক্রম কোনো নির্দিষ্ট এলাকা বা সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সামর্থ্য অনুযায়ী সারা বাংলাদেশের অসহায় ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের মাঝে এসব সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামান্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে অনেক মানুষের জীবনই সহজ হয়ে উঠবে। ভবিষ্যতেও এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং আরও বিস্তৃত পরিসরে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বজলু তালুকদার, খলিলুর রহমান, বারেক ফরাজী ও নুরু গাজী। তারা প্রবাসী রাসেদ ঢালীর এই মানবিক উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, এ ধরনের সহায়তা সমাজে সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার বার্তা ছড়িয়ে দেয়।
এ সময় স্থানীয় উপকারভোগীরা এই সহায়তার জন্য প্রবাসী রাসেদ ঢালী ও তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।