ছবি: সংবাদ সারাবেলা।
সংসদ সদস্য হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ভিক্ষুক আবুল মুনসুর ফকির। ব্যতিক্রমী এই প্রার্থিতা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অন্যান্য প্রার্থীদের ভিড়ে ভিক্ষুক আবুল মুনসুর ফকিরের উপস্থিতি নির্বাচনী মাঠে যোগ করেছে এক ব্যতিক্রমী মাত্রা, যা অনেকের কাছে গণতন্ত্রের ভিন্ন এক চিত্র তুলে ধরছে।
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচন অফিস জানায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসন থেকে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন আবুল মুনসুর ফকির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী তার মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আবুল মুনসুর নতুন নন। বিগত সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি ৩৭৭ ভোট পান। তার প্রচারণার ধরনও ছিল ব্যতিক্রমী। কোনো রাজনৈতিক দল, অর্থ কিংবা প্রভাবশালী মহলের সমর্থন ছাড়াই তিনি ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একাই পাড়া-মহল্লা ও হাট-বাজারে ঘুরে মানুষের কাছে ভোট প্রার্থণা করেন। অনেকের মতে, ওই ভোট ছিল অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদী মনোভাবের প্রতিফলন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস আরও জানায়, ভিক্ষুক মুনসুর ফকির সহ ৯ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে ডাঃ মো. মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে মো. আসাদুজ্জামান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো. ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ, খেলাফত মজলিস থেকে মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে আব্দুল কুদ্দুস এবং জাতীয় পার্টি থেকে মো. জহিরুল ইসলাম। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত, মো. জয়নাল আবেদীন।
বৈলর গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব আলম বলেন, “অনেককেই ভোট দিয়েছি, কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবনে পরিবর্তন দেখিনি। অন্তত এই মানুষটা গরিবের কষ্ট বোঝে।” স্থানীয় ব্যবসায়ী বাদল শেখ বলেন, “সে এমপি হবে কি না জানি না, তবে তার দাঁড়ানোটাই অনেক রাজনীতিবিদের জন্য লজ্জার।”
নিজের প্রার্থিতা সম্পর্কে আবুল মুনসুর ফকির বলেন, “আমি গরিব, ভিক্ষা করি। কিন্তু দেশের নাগরিক হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ানোর অধিকার আমারও আছে। সংসদে গেলে গরিব মানুষের কথা বলব- এটাই আমার স্বপ্ন।” ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল রায়হান বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল প্রার্থীর মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, উপজেলায় মোট ১২ জন মনোনয়ন গ্রহণ করলেও বিএনপির মো. জয়নাল আবেদীন ও মো. শহিদুল আমিন এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এটিএম মাহবুব উল আলম শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করেননি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
