তামাকের ভয়াবহ ক্ষতি ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রণীত আইন বাস্তবায়নে শেরপুর জেলার হতাশাজনক অবস্থার চিত্র উঠে এসেছে এক পর্যালোচনা সভায়। নাগরিক সমাজ ও সংবাদকর্মীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত ওই সভা থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জোর দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডব্লিউবিবিট্রাস্ট, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, যয়তুন চ্যারিটি বিডি এবং সবুজ বাংলা গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সবুজ বাংলা গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আব্দুল আলীম। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ রায়হান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নালিতাবাড়ী পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল মোমেন এবং নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির।
বক্তারা বলেন, দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর থাকলেও বাস্তব ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ খুবই দুর্বল। বিশেষ করে শেরপুর জেলায় আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর উদাসীনতা উদ্বেগজনক। তারা তামাকের স্বাস্থ্যঝুঁকি তুলে ধরে জনসচেতনতা বাড়ানো ও নিয়মিত তদারকির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বিপ্লব দে কেটু, যয়তুন চ্যারিটি বিডির প্রোগ্রাম অফিসার আমানুল্লাহ আসিফসহ স্থানীয় সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা।
এ সময় ডব্লিউবিবিট্রাস্টের গবেষণার তথ্য উপস্থাপন করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের আটটি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ২০টি জেলায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন খুবই কম, যার মধ্যে শেরপুর জেলার অবস্থান সর্বনিম্ন। সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাসস্টেশন, হোটেল-মোটেল, লাইব্রেরি ও অন্যান্য পাবলিক প্লেসে ‘নো স্মোকিং’ সাইনবোর্ডের চরম ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে।
সভা থেকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তামাকমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।