“পাহাড়ে প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে। পাহাড়ি এলাকার পাহাড়, বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা জরুরি। একই সঙ্গে মানুষের জীবিকাকে টেকসই করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে হবে বলে মন্তব্যে করেছেন জেলা পরিষদে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল মনসুর।
আজ মঙ্গলবার সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের হলরুমে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কৌশল বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব মন্তব্য করেন প্রধান অতিথি।
প্রধান অতিথি মো: আবুল মনসুর বলেন, যেসব এলাকাকে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে আগামীতে নির্বাচিত ৩০টি পাড়াকে গ্র্যাভিটি ফেড সিস্টেম (GFS) ও রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হবে। যাতে প্রাকৃতিক উপায়ে মাটি ক্ষয় রোধে জিওব্যাগ ব্যবহার করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রামে (সিএইচটি) কমিউনিটির সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কৌশল ও প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার বিষয়ে বান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়।
প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা রামবাদু ত্রিপুরা বলেন, কন্ট্রাক্টভিত্তিক টার্গেট অনুযায়ী প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ERRD প্রকল্পের আওতায় ইকোসিস্টেম ও জীবিকাভিত্তিক কর্মসূচিসহ নারী ক্ষমতায়ন ও নারী শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ এবং পানি সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বান্দরবানে সাতটি উপজেলায় মোট ২৩০টি ভিলেজ কমন ফরেস্ট (VCF) গ্রামীণ সাধারণ বন রয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি ভিলেজ কমন ফরেস্ট নিয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এই প্রকল্পের প্রতিটি ভিসিএফ ও স্কুলভিত্তিক কমিউনিটিতে ২০ হাজার করে চারা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স (GBV) ভুক্তভোগী ৩৫ জনকে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা একইসঙ্গে প্রতিপাড়া থেকে ৩০টি পরিবার করে মোট ৪৫০টি পরিবারকে ৬ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হবে। যার মোট বরাদ্ধ পরিমাণ ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
বৈঠকে প্রকল্প কর্মকর্তা অংসাইন এর সঞ্চালনায় সিনিয়র সাংবাদিক বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, ইউএনডিপির প্রতিনিধি মো. সেলিম উদ্দিনসহ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।