গভীর রাতে তীব্র শীত যখন জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে এবং সাধারণ মানুষ ঘুমে আচ্ছন্ন, ঠিক সেই সময় মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম।
শীতার্ত ও ভবঘুরে মানুষের কষ্ট লাঘবের উদ্দেশ্যে গভীর রাতে তিনি নিজেই হেঁটে হেঁটে পৌর সদরের বিভিন্ন সড়ক, ফুটপাতে গিয়ে অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
শীতার্তদের জন্য এ উদ্যোগ শুধু কম্বলের উষ্ণতাই নয়; বরং এটি প্রশাসনের মানবিক দায়িত্ববোধ, সহমর্মিতা ও দায়বদ্ধতার বাস্তব প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রাতের আঁধারে পথে-প্রান্তরে পড়ে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক বিরল মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা সাধারণ মানুষের কাছে প্রসংশিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, একজন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হয়েও সরাসরি রাতে আধারে শীতার্ত মানুষকে খুজে বের করে তাদের পাশে দাঁড়ানো সত্যিই ব্যতিক্রমী ও প্রশংসনীয়। এ ধরনের মানবিক ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়।
ফুটপাত ও রাস্তায় বসবাসকারী অসহায় অনেকে জানান, গভীর রাতে একজন ব্যক্তি এসে কম্বল দিয়ে গেছেন। কিন্তু তাকে চিনিনা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, “আমি জনগণের কল্যাণে কাজ করতে এসেছি। প্রশাসনিক ব্যস্ততার কারণে সব সময় নিজ হাতে মানবিক কাজে যুক্ত হওয়া সম্ভব হয় না। তবে রাষ্ট্রের বরাদ্দকৃত কম্বল অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এটি একটি চলমান কার্যক্রম।”