রাজধানীসহ সারাদেশে দু-এক দিন পরপরই বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবেও বেলা-অবেলায় ঝরছে বৃষ্টি। ঝড়-বৃষ্টির দিনে ছাতার চাহিদা তুঙ্গে, বেড়েছে বিক্রি। ১০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যেেই মিলছে ভালো মানের ছাতা। সহজে বহনযোগ্য, মান ও দামের কারণে ছোট ছাতার চাহিদা বেশি।
সরেজমিনে গুলিস্তান হল মার্কেট, বায়তুস সমির মার্কেট ও আল আমিন মার্কেট ঘুরে জানা গেছে, রহমান, শংকর, শরীফ, অ্যাটলাস ও মুন ব্র্যান্ডের ছাতার চাহিদা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি। এদের মধ্যে চাহিদার শীর্ষে শংকর ছাতা। এছাড়াও মদিনা, অলিম্পিক ও চেরিসহ নানান দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের ছাতা পাওয়া যাচ্ছে। মে থেকে শুরু হয়ে আগস্ট পর্যন্ত ছাতার চাহিদা বেশি থাকে। চীন-থাইল্যান্ড থেকে কাপড় আনা হয়। পরে রাজধানীর চকবাজার ও ইমামগঞ্জে ছাতা তৈরি হয়। এছাড়াও চকবাজারে ছাতার ইমপোর্টার্স রয়েছে। সেখান থেকেই ছাতা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
গুলিস্তান আল আমিন মার্কেটে ছাতা কিনতে আসা পলাশ বলেন, ২৪শ টাকা দিয়ে বিমানবাহিনীর অফিসের জন্যে ছাতা কিনেছি। বড় সাইজের ছাতা কিনেছি। এক ভাঁজের ছাতা আমাদের অফিসে বেশি ব্যবহার করা হয়।
গুলিস্তান হল মার্কেটে জুয়েল এন্টারপ্রাইজের ছাতা বিক্রেতা রানা বলেন, বৃষ্টির সময়ে ছাতা বেশি বিক্রি হয়। বৃষ্টির দিন ছাড়া ছাতার চাহিদা তেমন একটা থাকে না। আমরা চীন থেকে ছাতা আমদানি করি। নারীরা এক রঙের ও ডিজাইন করা ছাতা বেশি কেনেন।
গুলিস্তান বাইতুস সমির মার্কেটে কুমিল্লা ছাতা হাউজে ছাতা বিক্রি করছেন তাশরিফ হোসেন। তিনি বলেন, আমরা সব ছাতাই পাইকারি বিক্রি করি। আমাদের ক্রেতা মোটামুটি সব সময় থাকে। তবে এখন অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। চকবাজার থেকে ছাতাগুলো আনা হয়।
এছাড়াও সদরঘাটের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে জানা যায়, ছাতার বাজার এখন শংকর, মুন, শরীফ ও এটলাসের দখলে। বিদেশি ব্র্যান্ডের ছাতার চাহিদাও আছে। দেশি ব্র্যান্ডের অ্যাটলাস ও শরীফ ছাতা টেকসই হলেও এখন শংকর ছাতা বেশি বিক্রি হচ্ছে। কেনা যাচ্ছে ১০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যেই। এক ভাঁজের ছাতার দাম ৩০০ টাকার মতো। আর দুই ভাঁজের ছাতাগুলো ২০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। দেশি যে ছাতাগুলো ভাঁজ ছাড়াই বন্ধ হবে সেগুলোর দাম ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। বয়স্ক ও শিশুভেদে ছাতার দাম কমবেশি আছে। শিশুদের ছাতাগুলো ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
তাসলিমা লেদার স্টোর স্বত্বাধিকারী জুয়েল বলেন, অ্যাটলাসের চাহিদা আছে, তবে আগে বেশি ছিল। ছাতার রঙ আকর্ষণীয় হলে মাঝ বয়সীদের কাছে বিদেশি ছাতার চাহিদা বেশি। শংকর ছাতাই বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য স্থানীয় কিছু পণ্য আছে যেগুলো মানে ভালো নয়।
ম্যাক কালেকশনের বিক্রেতা মো. রনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের ছাতা পাওয়া যাচ্ছে। মেয়ে ও ছেলেদের ছাতা আলাদা হয়। এক রঙের ছাতার চাহিদা বেশি। দেশি ছাতার দাম কিছুটা বেশি। ক্রেতারা মানের চেয়ে ডিজাইনের দিকে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে।
ছাতা কিনতে আসা মো. আবদুল আউয়াল বলেন, ছাতা দেখছি, যেটা ডিজাইন ও দামে ভালো লাগবে সেটা নেব। এখন যেকোনো সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। বৃষ্টি না হলেও গরমের মধ্যে ছাতা লাগে। অতিরিক্ত গরমে ছাতা ব্যবহার করা যায়।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh