সাতক্ষীরার আম প্রথমবারের মতো যাচ্ছে হংকংয়ের বাজারে। এলাকায় আমের সিজনে সবার আগে গোবিন্দভোগ জাতের আম পাড়া হয়। এই জাতের আমই প্রবেশ করছে হংকংয়ের বাজারে।
আম রপ্তানিতে যুক্ত উত্তরণের সফল প্রকল্পের কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, সাতক্ষীরা জেলায় উৎপাদিত হিমসাগর, ন্যাংড়ার খ্যাতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে প্রবেশ করেছে তাও প্রায় একদশক। এর মধ্যে বেশী খ্যাতি ছিল ইউরোপের বাজারে। এবার গতকাল শনিবার পরীক্ষামূলক ১০০ কেজি গোবিন্দভোগ আম যাচ্ছে এশিয়ান মার্চেন্ট হংকংয়ের বাজারে।
সাতক্ষীরার নিরাপদ আমের বিশ্বস্ততা দেশ বিদেশ সর্বত্র। বাগান থেকে কার্টুনে করা পর্যন্ত কোথাও কোন অনিয়ম যাতে না হয় তার জন্য রয়েছে কৃষি বিভাগ, জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কড়া নজরদারি থাকে বলে জানান আমচাষীরা।
আমচাষী আজিজুর রহমান জানান, সরকার কৃষি বিভাগের যে প্রত্যাশা কৃষিকে লাভজনক ও ব্যবসা সফল করা তার প্রায় পুরোটা পূরণ হয়েছে সাতক্ষীরার আমচাষীদের মাধ্যমে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নূরুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিস ও প্রশাসনের পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, ক্ষীরশাপাতি, গোলাপখাস ও বৈশাখীসহ অন্যান্য স্থানীয় জাতের আম ৫ মে থেকে পাড়া শুরু হয়ে গেছে। এছাড়া ১৬ মে হিমসাগর, ২৪মে ন্যাংড়া ও ১ জুন আম্রপালি আম ভেঙে বাজারে তোলার নির্দেশ দেয়া হয়।
উপ-পরিচালক নূরুল ইসলাম আরও জানান, এবছর সারাদেশ থেকে ৬০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি করা হবে যার মধ্যে শুধু সাতক্ষীরা থেকে যাবে একশ মেট্রিক টন আম। ১৯ মে হবে বিদেশ যাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। আর এসব রপ্তানি কাজে সাতক্ষীরার অর্ধসহস্র চাষিকে প্রস্তুত করেছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে আমচাষী সাতক্ষীরা সদরের আমচাষী কবিরুল ইসলাম বলেন, তিনি ৫০টি সফল আমবাগানের সফল চাষী কিন্তু নির্ধারিত অর্ধসহস্রাধিক চাষির মধ্যে তার নাম যুক্ত হয়নি। ভবিষ্যতে তিনি যাতে যুক্ত হতে পারেন তার জন্য কৃষি বিভাগের সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, সরকারের আরও সহায়তা পেলে সাতক্ষীরার আমের বিস্তৃতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে, দেশ অর্জন করবে বৈদেশিক মুদ্রা।