× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

হাতিয়ায় বাড়ছে ডায়রিয়া, শয্যা সংকটে রোগিদের ভোগান্তি

নোয়াখালী প্রতিনিধি

২৮ মে ২০২২, ০৯:৪২ এএম

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে গরমের তীব্রতায় বাড়তে শুরু করেছে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা। এরইমধ্যে ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষ। শয্যা সংকটের কারণে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওয়ার্ডে  ও ওয়ার্ডের বাইরের বারান্দায় রোগীদের ভিড়। সিট না পাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা রোগীর স্বজনরাও পড়েছেন বিপাকে। বারান্দায় ফ্যান না থাকায় একদিকে গরম অন্যদিকে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা জাহাজমারা ইউনিয়নের বিরবিরি গ্রামের খতিজা খাতুন বলেন, আমার ছেলের বউয়ের কয়েকদিন পর্যন্ত বমি, সে সাথে পাতলা পায়খানা। ফার্মেসী থেকে ওষুধ স্যালাইন কিনে খাওয়ানোর পরেও না কমায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। ডাক্তার ভর্তি দিয়েছে কিন্তু কোন সিট খালি নেই । পরে নিরুপায় হয়ে বারান্দায় বিছানা করে স্যালাইন লাগিয়েছি। চার পাশে গন্ধে এবং গরমে খুবই কষ্ট হচ্ছে। সাথে পুরুষ কেউ না থাকায় নার্সদেরকে এক বারের বেশী দইুবার ডাকলে আসেনা, বরং খারাপ আচরণ করে।

সোনাদিয়া ইউনিয়ন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আলতাফ হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনে আমার মেয়ের পাতলা পায়খানা হচ্ছে। গ্রাম্য চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ, স্যালাইন খাওয়ারোর পরেও কমছে না। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি  করেছি। সিট না পাওয়ায় বারান্দার মেঝেতে রেখে চিকিৎসা চালানো হচ্ছে।  গত চার দিন থেকে ভর্তি আছি। বর্তমানে শরীরের অবস্থা কিছুটা ভালো আছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেওয়া তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে ১২৮জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৫০টি হলেও প্রতিনিয়ত ভর্তি রোগি থাকে ৮০ থেকে ৯০জন।

সোনাদিয়া চৌরাস্তা বাজার এলাকার সানজিদা ফার্মেসির মালিক রাসেদ উদ্দিন সহ অনেক পল্লী চিকিৎসক জানান, কয়েক দিন ধরে প্রচুর খাবার স্যালাইন ও ডায়রিয়ার ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। এই সময়ে ডায়রিয়ার আক্রান্ত হতে বেশি হওয়ায় আমরা রোগির বাড়িতে গিয়ে আইভিতে স্যালাইন লাগিয়ে দিতে হচ্ছে। যাদের অবস্থা বেশী খারাফ তাদেরকে হাসপাতালে রেফার করছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: নাজিম উদ্দিন বলেন, ঋতু পরিবর্তনের কারণে চারদিকে পুকুরের পানি কমে গিয়েছে, এখন গরম যত বাড়ছে, ডায়রিয়া রোগীও তত বাড়ছে। মানুষ তৃষ্ণা মেটাতে বাইরের বিভিন্ন ধরনের পানীয় সহ শরবত খাচ্ছেন। এর ফলে তারা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ সহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

রোগিদের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে প্রতিনিয়ত ৮০-৯০জন রোগি ভর্তী থাকে। আমরা আমাদের সাধ্যমত সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। তবে এটি ১শত শয্যায় উন্নিত করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগে কয়েকবার চিঠি দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এমপি সহ সংশ্লিষ্ট  কর্মকর্তারা চেষ্টা করছেন।  সম্প্রতি কয়েকজন সচিব এসে পরিদর্শন করে গিয়েছেন।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.