বগুড়ার নন্দীগ্রামে মাঘের একদিনের বৃষ্টিতে উঠতি ফসল আলুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পানির নিচে তলিয়ে গেছে আলু চাষীদের স্বপ্ন। কৃষকদের চোখে এখন কষ্টের পানি। এ উপজেলার আলু চাষীরা এখন বিপদগ্রস্থ, টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে তাদের স্বপ্ন।
শুক্রবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে তা থেমে থেমে চলে সারদিন। এতে করে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। কমে গেছে তাপমাত্রা,বেড়েছে শীতের প্রকপ, ক্ষতির মুখে পরেছে উঠতি ফসল আলু।
আর কিছুদিন পরেই আলু তোলা শুরু করবে চাষীরা। এরই মধ্যে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এতে করে আলুর জমিগুলো এখন পানির নিচে,এই অবস্থায় যদি তিন থেকে চার দিন থাকে তাহলে আরও নষ্ট হতে পারে। উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের আলু চাষি মাসুদ রানা জানান, হঠাৎ বৃষ্টিতে আলুর জমিতে পানি জমেছে। জমে থাকা পানিগুলো সেচ দেওয়া হচ্ছে। পুনরায় বৃষ্টি হলে ব্যাপক ক্ষতি হবে। যদি দু একদিরে মধ্যে টানা রোদ ওঠে তাহলে আলু কিছুটা রক্ষা পেতে পারে।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আদনান বাবু’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই উপজেলাতে ৩হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছে। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লক্ষ ২ হাজার মেট্র্রিকটন। চলতি শীত মৌসুমে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে আলুর জমিতে পনি জমে গেছে। জমে থাকা পনি দ্রæত নিস্কাশন করতে হবে এবং আবহাওয়া ভাল হওয়ার সাথে সাথে ছত্রাক নাশক স্প্রে করতে হবে। তিনি আরও জানান উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আলু চাষিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।